নাউনেৎ এবং নুন

নু
ইংরেজি : Nu
মিশরর প্রাচীন দেবতা। এর অন্য নাম নান বা নুন।


মিশরীয় হাইরোগ্লিফ-এ নুন।

মিশরীয় নু শব্দের অর্থ হলো আদিম জল। মিশরীয়রা মনে করতো, নু পানির বিশৃঙ্খল বর্জ্য রূপে বিরাজ করতেন। হার্মোপোলিস মত-এ তিনি ছিলেন অনন্ত, শূন্যময় এবং অন্ধকারময়। সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে নু-র অবস্থান ছিল এবং নু-থেকে সমগ্র জগতের সকল উপাদান তৈরি হয়েছে।

হার্মোপোলিস মত-এ নু নারী বা পুরুষ ছিলেন নাতিনি কখনো স্ত্রী বা পুরুষ হিসেবে উল্লেখ পাওয়া যায়। তাঁর পুরুষ পরিচিতি ছিল নাউনেৎ এবং স্ত্রী হিসেবে পরিচিতি ছিল নুনেৎ।

এই আদিম জলে বাস করতেন চার ব্যাঙ দেবতা এবং চারজন সর্পদেবী। এছাড়া ছিলেন চার জোড়া দেব-দেবী। এরা হলেন নু ও নাউনেৎ, আমুন এবং আমায়ুনেৎ, হে এবং হাউহেৎ এবং কুক এবং কায়ুলেৎ। এই আট দেবতাদের দলকে বলা হয় ওগ্‌দোয়াদ্

নু-এর  স্ত্রী ছিলেন নাউনেৎ। নাউনেৎকে চিত্রিত করা হতো সাপ বা সাপের মাথাযুক্ত নারী হিসেব। আর পুরুষ অংশ ছিল নু। একে মিশরীয়রা ব্যাঙ বা ব্যাঙের মাথাযুক্ত মানুষ হিসেবে চিত্রিত করতো। কখনো কখনো নুনকে দাড়িওয়ালা নীলাভ-সবুজ মানুষ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়েছে।

নু-এর পুত্র ছিলেন সূর্য দেবতা আটু। নুনের নির্দেশে বা স্বেচ্ছায় আটুম জন্ম নিয়েছিল নুনের ভিতর থেকে।  নুন প্রতিদিন সৌরগোলক উঁচু করে ধরে রাখেন। আর এই গোলকের ভিতরে গুবরে পোকার দ্বারা চক্রাকারে সূর্যের উদয় অস্ত হয়। আদি থেকে নুন এইভাবে বিশ্বনিয়ন্ত্রণ করতেন। এই সময় আকাশ এবং পৃথিবী একসাথে ছিল। কিন্তু বাতাসের দেবতা শু পৃথিবী থেকে আকাশ পৃথক করেছিলেন।

নুনকে মিশরীয় পুরাণে শুভ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।


সূত্র :
http://www.britannica.com/EBchecked/topic/422462/Nun
 
http://en.wikipedia.org/wiki/File:Nun_and_Naunet.jpg