গণেশ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| হিন্দু দৈবসত্তা | দৈবসত্তা | আধ্যাত্মিক সত্তা | বিশ্বাস | ্রজ্ঞা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

সনাতন হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র। হাতির মতো মাথা থাকায় এই দেবতাকে সহজেই চেনা যায়।  এঁর দেহ খর্বাকৃতি এবং গাত্র রক্তবর্ণ। এঁর চারটি হাতে রয়েছে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম এঁর বাহন হলোইঁদুর। সনাতন হিন্দু ধর্মমতে গণেশ সিদ্ধিদাতা ও বিঘ্ননাশক হিসাবে সর্বাধিক পূজিত। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে ইনি সকল কর্ম-সম্পাদন এবং পূজার পূর্বে পূজিত হন

গণেশের এই জন্মবৃত্তান্ত
১. ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের গণেশ খণ্ডে আছে বিষ্ণুর ইচ্ছায় মহাদেব-এর পুত্র হিসাবে গণেশের উৎপত্তি হয়েছিল ভিন্নতর পরিমণ্ডলে। পুরাণ মতে বিষ্ণু বুঝতে পেরেছিলেন যে, মহাদেব ও পার্বতীর মিলনের ফলে যদি মহাদেব-এর বীর্যে পার্বতী গর্ভবতী হন, তাহলে পার্বতী একটি অতিকায় দেব-পীড়নকারী পুত্র প্রসব করবেন। মহাদেব-এর এই অনিষ্টকারী পুত্রের জন্মরোধের উদ্দেশ্যে বিষ্ণু একটি কৌশলের আশ্রয় নেন। মহাদেব-পার্বতীর সঙ্গমের শেষ মুহূর্তে, বিষ্ণু দরিদ্র ব্রাহ্মণ বেশে মহাদেব-পার্বতীর মিলনগৃহের সামনে উপস্থিত হন এবং উচ্চস্বরে ভিক্ষা প্রার্থনা করতে থাকেন। মহাদেব ব্রাহ্মণরূপী বিষ্ণুর সম্মানার্থে দ্রুত সঙ্গমাসন ত্যাগ করেন, এর ফলে তাঁর স্খলিত বীর্য শয্যাতে নিক্ষিপ্ত হয়। এই স্খলিত বীর্য থেকেই গণেশের জন্ম হয়।

২। শিব পুরাণের মত মহাদেব-পার্বতীর বিবাহের পর, একবার মহাদেব নিকটস্থ বনে ভ্রমণ করতে বের হন। এই সময় পার্বতী পুতুল হিসাবে গণেশকে তৈরি করেন এবং প্রাণদান করে পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন। পরে পার্বতী গণেশকে দরজার সামনে পাহাড়ায় বসিয়ে স্নানে যান। এই সময় মহাদেব ভ্রমণ শেষে গৃহে প্রবেশ করতে গেলে, গণেশ তাঁকে চিনতে না পেরে বাধা দেন। মহাদেব এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে পরশু অস্ত্রের আঘাতে গণেশের মাথা চূর্ণ করেন এবং রক্তাক্ত শরীরে গৃহে প্রবেশ করনে। পার্বতী মহাদেব-এর কাছে শরীরের রক্তের কথা জিজ্ঞাসা করলে, মহাদেব দ্বাররক্ষককে হত্যা করার কথা বলেন। পার্বতী এই কথা শুনে অত্যন্ত কাতর হয়ে দ্বাররক্ষক গণেশের পরিচয় দেন এবং এঁর প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মহাদেব-এর কাছে অনুনয় করতে থাকেন। পরে মহাদেব গণেশর রক্তবস্ত্র একত্রিত করে পার্বতীর কোলে নিক্ষেপ করে বলেন যে, এই নাও তোমার সন্তান। এরপর পার্বতী তাঁর কোলে গণেশকে শিশু হিসাবে জীবন্ত দেখতে পেয়ে অভিভূত হয়ে যান। 

৩। স্কন্দপুরাণের মতে
বরেণ্যরাজের পত্নী পুষ্পকার গর্ভে এঁর জন্ম হয়। নবজাতকের চারটি হাত এবং হাতির মতো মুখ দেখে, রাজা এঁকে কোন নির্জনস্থানে ফেলে দেওয়ার জন্য ভৃত্যদেরকে আদেশ করেন। ভৃত্যরা এঁকে পার্শ্বমুনির আশ্রমের নিকটবর্তী একটি সরোবরের ধারে ফেলে রেখে আসনে। পরদিন মুনি ওই সরোবরে স্নান করতে গেলে এই শিশুটিকে পান। এরপর মুনি শিশুটিকে এনে তাঁর স্ত্রী দীপবৎসলার হাতে তুলে দেন। মুনি পত্নী এই শিশুটিকে স্তনদান করে মাতৃস্থান প্রাপ্ত হন। জন্মদাত্রী পুষ্পকা এবং স্তনদাত্রী দীপবৎসলার পুত্র হিসাবে ইনি দ্বৈমাতুর (দ্বি মাতার অপত্য ইতি) নামে অভিহিত হয়ে থাকেন।

গণেশের হস্তুমুণ্ডু
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের গণেশ খণ্ডে আছে, শয্যায় নিক্ষিপ্ত
মহাদেব-এর বীর্য থেকে গণেশের জন্ম হলেও, পার্বতী তাঁকে নিজপুত্র রূপে গ্রহণ করেন। অচিরেই গণেশের জন্মের কথা প্রচারিত হলে- শনি ছাড়া সকল দেবতাই তাঁকে দেখতে আসেন। একদিন শিবের অনুমতি নিয়ে শনি গণেশকে দেখতে এসে অবনত মস্তকে দাঁড়িয়ে রইলেন। পার্বতী শনি'র এই অদ্ভুত আচরণের কারণ জিজ্ঞাসা করলে, শনি উত্তরে বলেন যে একবার শনি'র স্ত্রী ঋতুস্নান করে শনি'র কাছে সঙ্গম প্রার্থনা করেন এই সময় শনি গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকায় তাঁর স্ত্রীর আবেদন ব্যর্থ হয় ফলে, শনি'র স্ত্রী তাঁকে অভিশাপ দেন যে, শনি যেদিকে তাকাবে সেদিকই ধ্বংস হবে সেই থেকে শনি কোনো দিকে তাকাতেন না এই কাহিনী শোনার পরও পার্বতী গণেশকে দেখতে অনুরোধ করলেন এরপর শনি গণেশের দিকে তাকাতেই তাঁর মস্তক ধ্বংস হয় পরে বিষ্ণু একটি হাতির মাথা কেটে গণেশের দেহে সংযোজন করে দেন। সেই থেকে গণেশ গজানন বা গজাস্য নামে পরিচিতি লাভ করেন।

গণেশের দৈব আশীর্বাদ ও নামকরণ
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ মতে
বিষ্ণু গণেশের শরীরের হাতির মাথা যুক্ত করে প্রাণদান করেন। কিন্তু এই হস্তীমুণ্ডের কারণে, তাঁকে কেউ যাতে অবহেলা না করেন, এই কারণে, বিষ্ণু বিধান দেন যে, সকল পূজার আগে গণেশ পূজা করতে হবে, অন্যথায় কোন পূজাই গৃহীত হবে না। শিবপুরাণে বলা হয়েছে সবার আগে গণেশ পূজার বিধান দিয়েছিলেন মহাদেব। এছাড়া বিষ্ণু তাঁকে ব্রহ্মজ্ঞান দান করেন। দেবতারা তাঁর আটটি নাম প্রদান করেন। এই নামগুলি হলো- একদন্ত, গজানন, গণেশ, বিনায়ক, লম্বোদর, শূর্পকর্ণ, শ্রীবিঘ্নেশ ও হেরম্ব। ব্রহ্মা তাঁকে কমণ্ডলু দান করেন, যোগপট্ট দেন শিব, ইন্দ্র দেন রত্ন সিংহাসন, সূর্যদেব দেন মণির কুণ্ডল, চন্দ্র দেন মণিমালা, কুবের মুকুট, অগ্নিশুদ্ধ কাপড় দেন অগ্নি, লক্ষ্মী দেন কেয়ুর, রত্নের বলয়, রত্নের নুপূর, সাবিত্রী ও সরস্বতী দেন গলার হার। এছাড়া অন্যান্য দেবদেবী ও মুনি ঋষিরা আরও বহুবিধ উপহার দেন। ধরিত্রী মাতা গণেশকে ইঁদুর দিয়েছিলেন খেলার উপকরণ হিসাবে। কালক্রমে এই ইঁদুর তাঁর বাহন হিসাবে গৃহীত হয়েছিল।

গণেশের একদন্ত হওয়া
হাতির মাথা ধারণ করার সময়, তাঁর শুড়ের উভয় পাশে দুটি গজদন্ত ছিল
পড়ে এই গজদন্তের একটি বিনষ্ট হলে একদন্ত নামে পরিচিত হন বিভিন্ন কাহিনীতে তাঁর এই একটি দাঁত খসে পড়ার কাহিনী ভিন্নভাবে বর্ণিত আছে যেমন ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ মতে পরশুরামের সাথে গণেশের যুদ্ধচলাকালে পরশুরামের কুঠারের আঘাতে একটি দাঁত খসে পড়েছিল। তবে এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে কিছু গল্প প্রচলিত আছে
১.
রাবণের পাশা খেলার জন্য পাষ্টির প্রয়োজন হলে, রাবণ গণেশের একটি দাঁত তুলে নিয়ে যান
২.
কৈলাশে মহাদেব-এর সাথে দেখা করতে গেলে, মন্দিরের দ্বারের সাথে বাধা পেয়ে একটি দাঁত খসে পড়েছিল
৩.
কার্তিকেয়ের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করার সময় তাঁর একটি দাঁত খসে পড়েছিল

গণেশের বিবাহ
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ মতে
একবার জাহ্নবী নদীর তীরে গণেশ ধ্যানে বসেন। এই সময় তুলসীদেবী গণেশের একদন্তী হস্তীমুণ্ড এবং দৈহিক রূপ দেখে, তাঁকে কৌতুহল নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। ধ্যানমগ্ন গণেশ উত্তর না দিলে, তুলসী তর্জনী দিয়ে গণেশকে আঘাত করেন এবং নদীর জল মাথায় ঢেলে গণেশের ধ্যানভঙ্গ করেন। গণেশ এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে তুলসীকে তিরস্কার করেন। কিন্তু তুলসী সে কথায় কর্ণপাত না করে গণেশকে প্রেম নিবেদন করেন। গণেশ তখন তুলসীর কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন যে, তিনি বিবাহ না করে ধ্যানী ও জিতেন্দ্রিয় হয়ে কাটাবেন। প্রত্যাখ্যিত তুলসী তখন গণেশকে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে, তাঁর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হবে এবং সে বিবাহ করবে। ফলে গণেশ তুলশীকেও দানব-পত্নী হওয়ার অভিশাপ দেন পরে পুষ্টি নামক এক সুন্দরী কন্যার সাথে গণেশের বিবাহ হয়। পুরাণে পুষ্ঠির অন্যান্য পরিচয় হিসাবে নবদুর্গা, মহাষষ্ঠী হিসাবের নাম পওয়া যায়।

মহাভারতের লিপিকার
ব্যাসদেব ব্রহ্মার কাছে মহাভারত রচনার বিষয় উত্থাপন করলে, ব্রহ্মা লিপিকার হিসাবে গণেশের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। এই পরামর্শ অনুসারে ব্যাসদেব গণেশকে স্মরণ করলে, গণেশ তৎক্ষণাৎ হাজির হন। এরপর বেদব্যাস মহাভারতের লিপিকার হওয়ার জন্য গণেশকে অনুরোধ করলে- গণেশ বলেন, '"মুনে! যদি লিখিতে লেখনী ক্ষণমাত্র বিশ্রাম লাভ না করে, তাহা হইলে আমি আপনার লেখক হইতে পারি"। বেদব্যাসও একটি শর্ত দিয়ে তাতেই রাজী হয়ে বললেন,' "হে বিঘ্ননাশক! কিন্তু আমি যাহা বলিব, তাহার যথার্থ অর্থবোধ না করিয়া আপনিও লিখতে পারবেন না।" পরে উভয় উভয়ের শর্ত মেনে নিয়ে মহাভারত রচনা শুরু করেন। এরপর ব্যাসদেব মহাভারতের শ্লোক তৈরি করে বলা শুরু করলে, গণেশ তা লিখা শুরু করেন। রচনার মাঝে মাঝে ব্যাসদেব এমন  কিছু কূট-শ্লোক রচনা করেন, যা সর্বজ্ঞ হয়েও গণেশের বুঝতে সময় লেগে যেতো। গণেশ এই কূট-শ্লোকগুলি বুঝে লিখতে গিয়ে কিছুটা সময় ব্যয় করতেন। এই সময়ের মধ্যে ব্যাসদেব আরও বহু শ্লোক রচনা করতেন। 
         [মহাভারত:  আদিপর্ব।
ভারতলেখনার্থ গণেশের স্মরণ অনুক্রমণিকাধ্যায়।]

এর অন্যান্য নাম  
অবিঘ্নেশ্বর : অবিঘ্নের ঈশ্বর/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
অম্বিকানন্দন : অম্বিকার (দুর্গা) নন্দন (পুত্র)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
অম্বিকাসূত : অম্বিকার (দুর্গা) সূত (পুত্র)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
অম্বিকেয় : অম্বিকার (দুর্গা) এয় (অপত্যার্থে)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
একদন্ত : একই দন্ত যাহার/বহুব্রীহি সমাস।
একদ্রংষ্ট্র
:একই দ্রংষ্ট্র যাহার/বহুব্রীহি সমাস।
কুঞ্জরবদন : কুঞ্জরের (হাতি) আনন (মাথা)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গজানন : গজের (হাতি) আনন (মাথা)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গজাস্য : গজের (হাতি) আস্য (মুখ)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গণদেব
: গণদিগের (শিবের অনুচর) দেব/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গণনাথ : গণদিগের (শিবের অনুচর) নাথ (প্রভু)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গণনায়ক : গণদিগের (শিবের অনুচর) নায়ক (প্রধান)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গণপতি : গণদিগের (শিবের অনুচর) পতি (প্রভু)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গণভর্তা : গণদিগের (শিবের অনুচর) ভর্তা (প্রভু)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গণাগ্রণী : গণদিগের (শিবের অনুচর) অগ্রণী (শ্রেষ্ঠ)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গণাধিপ
:  গণদিগের (শিবের অনুচর) অধিপ (রাজা)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
গণেশ : গণ দিগের ঈশ/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
দ্বৈমাতুর : দ্বি মাতা যাহার/বহুব্রীহি সমাস।
বিঘ্ননায়ক : বিঘ্নের নায়ক/কর্মধারয় সমাস।
বিঘ্ননাশক
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) নাশক/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিঘ্ননাশন
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) নাশন/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিঘ্নবিনায়ক : বিঘ্নের বিনায়ক/কর্মধারয় সমাস।
বিঘ্নবিনাশক
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) বিনাশক/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিঘ্নবিনাশন
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) বিনাশন/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিঘ্নরাজ
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) রাজ (প্রভু, কর্তা)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিঘ্নহর
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) হর (হরণকারী)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিঘ্নহরক
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) হারক (হরণকারী)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিঘ্নহারী
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) হারী (হরণকারী)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিঘ্নেষ
: বিঘ্নের (বাধা, অন্তরায়) ঈশ (প্রভু)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস। বিঘ্ন +ঈশ।
বিনায়ক : বি (বিশিষ্ট রূপ) যে নায়ক/কর্মধারয় সমাস।
মূষকবাহন : মূষ (ঈঁদুর) বাহন যাহার/বহব্রীহি সমাস।
মূষিকাঙ্ক : মূষিক অঙ্ক (চিহ্ন) যাহার//বহব্রীহি সমাস।
মূষগ : মূষকে (ঈঁদুর) গ (গমন করা) করে যে/উপদ তৎপুরুষ সমাস।
লম্বোদর : লম্ব (দীর্ঘ) উদর (পেট) যাহার//বহব্রীহি সমাস।
শূর্পকর্ণ
: শূর্পের (কুলা) ন্যায় কর্ণ যাহার/বহুব্রীহি সমাস।
শ্রীবিঘ্নেশ : শ্রীযুক্ত যে বিঘ্নেশ/মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।

সিদ্ধিদ
: সিদ্ধি (সফলতা, ঐশ্বর্য, সাধনালব্ধ ক্ষমতা ইত্যাদি) দা (দান করা) যে/উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
সিদ্ধিদ
া: সিদ্ধি (সফলতা, ঐশ্বর্য, সাধনালব্ধ ক্ষমতা ইত্যাদি) দা (দান করা) যে/উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
সিদ্ধিদাতা : সিদ্ধির (সফলতা, ঐশ্বর্য, সাধনালব্ধ ক্ষমতা ইত্যাদি) দাতা (প্রদানকারী)/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
হেরম্ব
: হে (শিবসমীপে) রম্ব (স্থিত)/অলুক সমাস।