শনি (দেবতা)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
হিন্দু দৈবসত্তা
|
দৈবসত্তা
|
আধ্যাত্মিক সত্তা
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
অপরাপর নাম
: অরুণাত্মজ,
অর্কতনয়,
অর্কনন্দন,
অর্কপুত্র,
অর্কসূত,
অর্কসূনু।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
দেবতা বিশেষ। হতভাগ্য দেবতা হিসাবেই এঁর সর্বাধিক পরিচিতি।
ইনি
সূর্যের ঔরসে
ছায়ার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
যৌবনে চিত্ররথ নামক এক কন্যাকে বিবাহ করেন।
একদিন শনি গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন।
এমন সময় তাঁর স্ত্রী ঋতুস্নান করে তাঁর কাছে সঙ্গম প্রার্থনা করেন।
শনি ধ্যানমগ্ন থাকায় স্ত্রীর কথায় কর্ণপাত করলেন না।
ফলে তাঁর স্ত্রী'র
ঋতু বিফলে যায়।
এই কারণে চিত্ররথ শনিকে অভিশাপ দিয়ে বললেন–
তুমি যার দিকে দৃষ্টিপাত করবে সেই
বিনষ্ট হবে।
এই কারণে ইনি কারো দিকে তাকাতেন না। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে-
পার্বতীর পুত্র
গণেশের দিকে তাকালে, গণেশের মস্তক ধ্বংস হয়েছিল। দেখুন :
গণেশ
।
কালিকা পুরাণের মতে–
সতীর
দেহত্যাগের পর,
মহাদেব
তীব্র রোদন করতে থাকলে, তাঁর চোখ থেকে বিপুল পরিমাণ জলরাশি নির্গত হতে থাকে। এই
জলরাশি পৃথিবীতে পতিত হলে- ভূমণ্ডল দগ্ধ হবে। এই কারণে দেবতাদের অনুরোধে
শনি
এই জল গ্রহণ করেন। কিন্তু শনি এই জল ধারণে অসমর্থ হয়ে- ইনি তা জলধার
নামক পর্বতে নিক্ষেপ করেন। উল্লেখ্য এই জল পরে
বৈতরণী
নামে প্রবাহিত হয়েছ।
[ ৯-৩৭। অষ্টাদশোহধ্যায়। কালিকা পুরাণ]