মন্দরপর্বত
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
পর্বত
|
পৌরাণকি
লক্ষ্যবস্তু
|
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে–
পর্বত বিশেষ। এই পর্বতের উচ্চতা
ছিল এগার হাজার যোজন উন্নত এবং এই পরিমাণ অংশ ভূগর্ভে প্রোথিত ছিল। এই পর্বতে ছিল
লতাজালে বেষ্টিত বনরাজি। এই পর্বতে নানা ধরনের স্থলচর এবং পক্ষির বিচরণক্ষেত্র ছিল।
এই পর্বতে বাস করতেন কিন্নর ও অপ্সরাগণ।
দেবতারা
অমৃতলাভের জন্য
সুমেরু শৃঙ্গে বসে
সমুদ্রমন্থনের
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই মন্থনে মন্দরপর্বতকে মন্থনদণ্ড হিসেবে
নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু সকল দেবতা মিলিত হয়ে এই পর্বত উত্তোলন করতে ব্যর্থ হন।
পরে এঁরা
বিষ্ণু
এবং
ব্রহ্মাকে তাঁদের ব্যর্থতার কথা জানান। উভয় দেবতা এই পর্বত
উত্তোলনে
অনন্তনাগের
শরণাপন্ন হতে বলেন। পরে দেবতাদের অনুরোধে
অনন্তনাগ
এই পর্বত
উত্তোলন করেন। এরপর এই পর্বতকে
সমুদ্রমন্থনে
ব্যবহার করা হয়েছিল।
[মহাভারত।
আদিপর্ব। ১৮ অধ্যায়।
সমুদ্রমন্থারম্ভ
]