সুগ্রীব
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি এই নামে
উল্লেখযোগ্য দুটি চরিত্র পাওয়া যায়। চরিত্র দুটি হলো–
১. কিষিন্ধ্যার বানররাজ। এঁর বড় ভাইয়ের নাম ছিল বালী। ঋক্ষরজার গ্রীবায় সূর্যের বীর্যপাতের ফলে এঁর জন্ম হয়েছিল। ঋক্ষরজার মৃত্যুর পর বালী রাজা হন।
কিছুদিন পর নারী ঘটিত এক কারণে মায়াবী নামক এক অসুরের সাথে বালীর সংঘাত উপস্থিত হয়। মায়াবী কিষ্কিন্ধায় এসে বালীকে যুদ্ধে আহ্বান করলে, বালী ও সুগ্রীব যুদ্ধে অগ্রসর হন। এরপর মায়াবী ভয়ে একটি গর্তে প্রবেশ করলে– বালীও উক্ত গর্তে প্রবেশ করেন। এই সময় তিনি সুগ্রীবকে গর্তের মুখ রক্ষা করতে আদেশ করেন। এক বত্সর অপেক্ষা করার পরও বালী ফিরে না এলে এবং গর্তের মুখে রক্ত দেখে, সুগ্রীব মনে করেন যে বালীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর সুগ্রীব রাজ্যে ফিরে এসে রাজপদ অধিকার করেন এবং বালির পত্নী তারাকে বিবাহ করেন। পরে বালী অসুরকে হত্যা করে ফিরে এসে এই ঘটনা দেখে সুগ্রীবকে তিরস্কার করে রাজ্য থেকে বিতারিত করেন এবং সুগ্রীবের স্ত্রী রুমাকে অধিকার করেন। এই সময় সুগ্রীব তাঁর সহচর বানরদের নিয়ে ঋষ্যমুক পর্বতের মাতক্মুনির আশ্রমের কাছে আশ্রয় নেন। কিন্তু মাতক্মুনির অভিশাপের ভয়ে বালী এই আশ্রম এলাকায় ঢুকে সুগ্রীবের অনিষ্ট করা থেকে বিরত থাকেন।
রাবণ কর্তৃক
সীতা অপহৃতা হওয়ার পর- রাম-লক্ষ্মণ সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে এখানে এলে,
সুগ্রীবের সাথে এঁদের বন্ধুত্ব হয়।
বালীকে হত্যার পরিবর্তে সুগ্রীব রাম-লক্ষ্মণের সহায়তা করবেন এমন প্রতিজ্ঞা করেন।
পরে রামের পরামর্শে সুগ্রীব কিষ্কিন্ধায় গিয়ে বালীকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করেন।
যুদ্ধ চলাকালে রাম আড়াল থেকে বাণ নিক্ষেপে বালীকে হত্যা করবেন এমন প্রতিজ্ঞা করলেও
যুদ্ধ চলাকালে উভয়ের দৈহিক আকৃতি একই রকম মনে হওয়ায় রাম বাণ নিক্ষেপ থেকে নিজেকে
বিরত রাখেন।
সেদিন সুগ্রীব কোনমতে বালীর হাত থেকে পালিয়ে বাঁচেন।
পরদিন রাম সুগ্রীবের গলায় গজপুষ্পীলতা বেঁধে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠান।
বালী-সুগ্রীবের যুদ্ধচলাকালীন সময়ে রাম গজপুষ্পীলতা'র
চিহ্ন দেখে সুগ্রীবকে চিহ্নিত করেন এবং বালীর প্রতি বাণ নিক্ষেপ করে তাঁকে হত্যা
করেন।
এরপর সুগ্রীব রাজ্য দখল করে নিজ স্ত্রী রূমা ও বালীর পত্নী তারাকে অধিকার করেন।
এরপর সুগ্রীব বানর সৈন্য সংগ্রহ করে সীতার অন্বেষণ বের হন। হনুমান সীতার সংবাদ আনার পর ইনি তাঁর বানরসেনার সাহায্যে সেঁতু তৈরি করে রামের সাথে লঙ্কায় উপস্থিত হন। এই যুদ্ধে ইনি বিশেষ বীরত্বের পরিচয় দেন। কুম্ভ, বিরূপাক্ষ, মহোদর প্রভৃতি রাক্ষসেরা তাঁর হাতে নিহত হন। লঙ্কা জয়ের পর ইনি অযোধ্যায় রামের অভিষেকের সময় উপস্থিত ছিলেন। রামের প্রাণ বিসর্জনের সময় ইনি দেহত্যাগ করে সূর্য মণ্ডলে প্রবেশ করেন।
এঁর অপরাপর নাম
: অরুণাত্মজ,
অর্কতনয়,
অর্কনন্দন,
অর্কপুত্র।
২। শুম্ভাসুরের দূত ছিলেন। দানব শুম্ভ-নিশুম্ভকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দুর্গাদেবী লাবণ্যময়ী নারী মূর্তিতে উপস্থিত হলে- শুম্ভ-নিশুম্ভ দেবীকে বিবাহ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। শুম্ভ-নিশুম্ভের এই বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে ইনি দেবীর কাছে গিয়েছিলেন।
সুঘটন [শু.ঘ.টোন্][Su.gH.ÿon]
সুঘরাই
বিশেষ্য
{|
কাফি ঠাট |
ঠাট |
সঙ্গীত-স্কেল
|
স্বরলিপি
|
সঙ্কেতলিপি-পদ্ধতি
|
লিখন |
লিখিত যোগাযোগ
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}।
ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত রাগ বিশেষ।
আরোহণ : স র জ্ঞ ম প ণ র্স
অবরোহণ : র্স ন ধ প ম জ্ঞ র স
ঠাট : কাফি
জাতি : ষাড়ব-সম্পূর্ণ
বাদী : স
সমবাদী : প
সময় : দিবা দ্বিতীয় প্রহর
সুঘরাই কানাড়া
বিশেষ্য
{|
কাফি ঠাট |
ঠাট |
সঙ্গীত-স্কেল
|
স্বরলিপি
|
সঙ্কেতলিপি-পদ্ধতি
|
লিখন |
লিখিত যোগাযোগ
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}।
ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত রাগ বিশেষ।
আরোহণ : স র জ্ঞ ম প ণ র্স
অবরোহণ : র্স ণ প ম জ্ঞ ম প র স
ঠাট : কাফি
জাতি : ষাড়ব
বাদী : র
সমবাদী : প
সময় : রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর/দিবা
সুঘরাই টোড়ী
বিশেষ্য
{|
আসাবরী ঠাট |
ঠাট |
সঙ্গীত-স্কেল
|
স্বরলিপি
|
সঙ্কেতলিপি-পদ্ধতি
|
লিখন |
লিখিত যোগাযোগ
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}।
ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত রাগ বিশেষ।
আরোহণ : ণ্ স র জ্ঞ র স ণ প ম প জ্ঞ র স ম প র্স
অবরোহণ : র্স ন র্স প ম প র জ্ঞ র ণ্ স
ঠাট : আসাবরী
জাতি : ষাড়ব
বাদী : র
সমবাদী : প
সময় : দিবা দ্বিতীয় প্রহর