বালী
বানান বিশ্লেষণ:ব্+আ+ল্+ঈ।
উচ্চারণ :
ba.li
(বা.লি্)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত বালী>
বাংলা বালী
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
পৌরাণিক সত্তা |
অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাস |
কাল্পনিক সত্তা |
কল্পনা |
সৃজনশীলতা |
কর্মক্ষমতা |
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন |
বিমূর্ত-সত্তা |
সত্তা |}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে এই নামে একাধিক চরিত্র পাওয়া যায়।
-
১. বকাসুর ও পুতনার পিতার নাম।
-
২. কিষ্কিন্ধ্যার বানররাজ। এঁর ছোট ভাইয়ের নাম ছিল সুগ্রীব। বালী ছিলেন
ইন্দ্রের
পুত্র, আর
সুগ্রীব
ছিলেন
সূর্যের
পুত্র।
ঋক্ষরজার
চুলে
ইন্দ্রের
বীর্যপাতে এঁর জন্ম হয়েছিল
ঋক্ষরজার
মৃত্যুর পর বালী রাজা হন। ইনি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিলেন। এঁর স্ত্রীর নাম ছিল তারা এবং পুত্রের নাম ছিল
অঙ্গদ।
একবার
রাবণ
দিগ্বিজয়ে বের হয়ে বালীর সাথে যুদ্ধ করার জন্য কিষ্কিন্ধায় উপস্থিত হন।
সেখানে পৌঁছে ইনি জানতে পারলেন যে বালী চার সমুদ্রে সন্ধ্যাবন্দনা করতে গিয়েছেন।
রাবণের
সন্ধানে দক্ষিণ সমুদ্রে উপস্থিত হলে, বালী অকস্মাৎ তাঁকে মুষ্ঠিতে পুরে আকাশে উঠে গেলেন এবং ক্রমান্বয়ে চার সমুদ্রে সন্ধ্যাবন্দনা শেষ করলেন।
রাবণ
বালীর এরূপ শক্তি দেখে তাঁর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে ফিরে আসেন।
দুন্ধুভি নামক
এক মহিষরূপী অসুর তাঁর সাথে যুদ্ধ করতে এলে-
ইনি উক্ত অসুরের শিং ধরে ভূমিতে নিক্ষেপ করে হত্যা করেন। পরে এই অসুরের শরীর দূরে নিক্ষেপ করলে অসুরের মুখ থেকে নির্গত রক্ত মাতঙ্গমুনির আশ্রমে পতিত হয়। এই কারণে, মাতঙ্গমুনি অভিশাপ দেন- আশ্রমদুষিতকারী তাঁর আশ্রমের এক যোজনের মধ্যে উপস্থিত হলে তাঁর মৃত্যু হবে।
নারী ঘটিত এক
কারণে মায়াবী নামক এক অসুরের সাথে বালীর সংঘাত উপস্থিত হয়। মায়াবী কিষ্কিন্ধায় এসে বালীকে যুদ্ধে আহ্বান করেন।
বালী তাঁর ভাই সুগ্রীবকে নিয়ে এই যুদ্ধে অগ্রসর হলে, মায়াবী ভয়ে একটি গর্তে প্রবেশ করলে-
বালীও উক্ত গর্তে প্রবেশ করেন। এই সময় ইনি
সুগ্রীবকে
গর্তের মুখ রক্ষা করতে বলেন। এক বৎসর অপেক্ষা করার পরও বালী ফিরে না এলে এবং গর্তের মুখে রক্ত দেখে,
সুগ্রীব মনে করেন যে বালীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর
সুগ্রীব
সুগ্রীব
রাজ্যে ফিরে এসে রাজপদ অধিকার করেন এবং বালীর পত্নী তারাকে বিবাহ করে।
বালী অসুরকে
হত্যা করে ফিরে এসে এই ঘটনা দেখে
সুগ্রীব
কে তিরস্কার করে রাজ্য থেকে বিতারিত করেন এবং
সুগ্রীবের
স্ত্রী রুমাকে অধিকার করেন।
এরপর সুগ্রীব
তাঁর সহচর বানরদের নিয়ে ঋষ্যমুক পর্বতের মাতঙ্গমুনির আশ্রমের কাছে
আশ্রয় নেন । মৃত্যু ভয়ে বালী এই আশ্রম এলাকায় ঢুকে
সুগ্রীবের
অনিষ্ট করা থেকে বিরত থাকেন ।
রাবণ কর্তৃক সীতা অপহৃতা হওয়ার পর- রাম-লক্ষ্মণ সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে এখানে এলে সুগ্রীবের সাথে তাঁদের দেখা হয়।
পরে বালীকে হত্যা করার শর্তে
রাম
সুগ্রীবের
সহায়তা লাভ করেন