ঋক্ষরজা
বানান
বিশ্লেষণ :
ঋ+ক্+ষ্+অ+র্+অ+জ্+আ।
উচ্চারণ :
rik.kʰo/rɔ.ɟa (রিক্.খো.র.জা)
ঋক্ষ =রিক্.খো (ক্ষ শব্দের মাঝে ক্+খ্+ও ধ্বনি তৈরি করে। পূর্বে অবস্থিত ঋ-এর সাথে দুই অক্ষর বিশিষ্ট দুটি ধ্বনি সৃষ্টি করে। ফলে ঋক্ষ হয়ে যায় ঋক্+খো)
রজা =রজা। (প্রথম অক্ষর র হবে অর্ধ বিবৃত এবং এর সাথে জা অক্ষর যুক্ত হবে)।
শব্দ-উৎস :
সংস্কৃত
ऋक्षरजा
(ঋক্ষরজা)>বাংলা
ঋক্ষরজা।
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
কিষ্কিন্ধ্যার রাজা, বানরকুলের অধিপতি।
এক সময় সুমেরু পর্বতের মাঝখানের শৃঙ্গে
ব্রহ্মার শত যোজন বিস্তৃত এক সভা
বসতো।
সেই সভায় একদিন যোগাভ্যাসের সময়
ব্রহ্মার চোখ থেকে যে অশ্রুবিন্দু পতিত হয়
এবং
তা থেকে ঋক্ষরজা নামক বানরের জন্ম হয়।
এই বানর
ব্রহ্মার আদেশে ফল-মূল খেয়ে সুমেরু শিখরে বসবাস করতেন।
একবার ওই পর্বতের উত্তর শিখরে এক নির্মল সরোবরে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে সে ভাবলো– নিশ্চয়ই অন্য কোনো বানর তাকে অপমান করছে।
সে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে,
উক্ত বানরকে আক্রমণ করার জন্য জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন
এবং সাথে সাথে
অত্যন্ত রূপবতী এক নারীতে রূপান্তরিত হন।
এঁকে দেখে
ইন্দ্র
ও
সূর্য
দুজনেই অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
এই অবস্থায়
সূর্য
এর গ্রীবায় বীর্যপাত করলে-
সুগ্রীবের
জন্ম হয় এবং
ইন্দ্র এর
চিকুরে বীর্যপাত করলে
বালীর জন্ম হয়।
পরদিন ঋক্ষরজা তাঁর বানরূপ ফিরে পেলেন। এরপর এই দুই পুত্রকে নিয়ে
ব্রহ্মার কাছে
গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন।
ব্রহ্মা এক দেবদূতের সাহায্যে এদেরকে কিষ্কিন্ধ্যার রাজা করে পাঠালেন।
পরে
ব্রহ্মার আজ্ঞায় ইনি সমস্ত বানরকুলের অধিপতি হন।
তাঁর মৃত্যুর পর
কিষ্কিন্ধ্যার রাজ হন, ইন্দ্রপুত্র
বালী।