আমিষ
বানান বিশ্লেষণ: আ+ম্+ই+ষ্+অ
উচ্চারণ:
আ.মিশ্
[a.miʃ]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত আমিষ>বাংলা
আমিষ।
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ: √অম্
(গতি)+ইষ্
(টিষচ্),
কর্মবাচ্য
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
বৃহৎ-অণু
|
অণু
|
নির্মাণ একক
|
স্ব-সত্তা
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
বা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{জৈব-যৌগ
|
রাসায়নিক যৌগ
|
বস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ:
নাইট্রোজেন ঘটিত
একপ্রকার খাদ্যের শ্রেণি বিশেষ।
ইংরেজি:
protein।
ব্যাখ্যা: ইংরেজি ভাষায়
protein
শব্দটি দ্বারা আমিষ জাতীয় খাদ্য এবং
জৈব রসায়নে এ্যামিনো এ্যাসিডের পলিপেপটাইড অবস্থাকেও বুঝানো হয়।
বাংলাতে আমিষ বলতে খাদ্য হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে জৈবযৌগ হিসেবে
প্রোটিন শব্দটি বলতে জৈব-রসায়নের পারিভাষিক অর্থটিই গ্রহণ করা হয়।
তবে আমিষ বা প্রোটিন হলো- নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব রাসায়নিক পদার্থের
একটি শ্রেণি বিশেষ। এই শ্রেণির জৈবপদার্থ মূলত কার্বন,
হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন
দ্বারা গঠিত এক প্রকার জটিল অণু। এই অণু পেপটাইড বন্ধনীর দ্বারা যুক্ত হয়ে দীর্ঘ
শৃঙ্খলের সৃষ্টি করে। জীব দেহের ক্ষয়পূরণ ও দেহগঠনের জন্য আমিষ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়
উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এছাড়া দেহের কোষ, রক্ত,
এনজাইম, পেশী গঠনের জন্য আমিষ একটি
প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। মাছ, মাংশ, দুধ,
ডিম, সয়াবিন,
ডাল ইত্যাদিতে আমিষ থাকে। প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে আমিষকে দুটি
ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটি হলো−
প্রাণীজ আমিষ ও উদ্ভিজ্জ আমিষ।