আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি : ɦɔ
ইউনিকোড:  u+09B9
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}

বর্ণ-পরিচিতি :
এর নাম হ বাংলা বর্ণমালার ৪৩তম বর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের ৩২শ বর্ণ

এর মূল ধ্বনি চিহ্ন হ্ অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর এর চিহ্ন দাঁড়ায় হ। এটি উষ্মবর্ণ এবং ঘোষবর্ণ।

শ্রবণ নমুনা

যুক্তবর্ণ হিসেবে হ-এর উচ্চারণ প্রকৃতি।

১. হ-এর সাথে ঋ-কার, ন, ণ, ম, র, ল যুক্ত হলে, পরবর্তী বর্ণটি আগে উচ্চারিত হয়। যেমন

    হ্ +‌ঋ =হৃ। উচ্চারণ : হ্‌রি [হৃদয়= র্‌হ+ই, দয়্]
    হ +ন্ =হ্ন। উচ্চারণ : ন্‌হ [চিহ্ন = চিন্‌হো]
    হ্+ম  =হ্ম। উচ্চারণ :ম্‌হ [ব্রহ্ম=ব্রোম্‌হো]
    হ্ +র=হ্র। উচ্চারণ : র্‌হ [হ্রদ=র্‌হ.+অ.দ্]
    হ্ +ল=হ্ল। উচ্চারণ : ল্‌হ [আহ্লাদ=আল্‌হাদ্]

২. হ এর সাথে ব-ফলা যুক্ত হলে ওয়া,
v  -এর মিশ্ররূপ প্রকাশ পায়। যেমন : আহ্বান [আও. ভা(v +আ)+ন্]

৩. হ-এর সাথে য-ফলা যুক্ত হলে, জ্‌ঝ উচ্চারিত হয়। যেমন: গ্রাহ্য=গ্রাজ্‌ঝো

৪. ং-এর সাথে যুক্ত হলে, হ পরে উচ্চারিত হয়। যেমন =অংহ=অঙ্.হো।


হ-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি থেকে হ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় থেকে প্রথম শতাব্দীর ভিতরে এই বর্ণটি বিভিন্ন চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে নিচের ছকে এই বিবর্তিত রূপগুলোর নির্দশন তুলে ধরা হলো

খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে এই বর্ণটি অনেকটা ফ-এর মতো ছিল কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই রূপটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রকমই ছিল গুপ্তলিপিতে ফ-এর মতো আকার ছাড়াও ড-এর মতো আকার-বিশিষ্ট হ-বর্ণ লক্ষ্য করা যায় নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ক-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

কুটিললিপি থেকে ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত হ-বর্ণটি বিচিত্রভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানের হ-বর্ণটি পাওয়া গেছে ১৭শ শতাব্দীর পরে। নিচের ছকে এই পরিবর্তনের নমুনা দেখানো হলো।

আধুনিক বানান রীতি অনুসারে এই বর্ণটির সাথে যে রীতিতে স্বরবর্ণ যুক্ত হয়, তা হলো-

্ +আ =হা হ্ +ই=হি হ্+ঈ=হী হ্ +উ=হু   হ্ +ঊ=হূ
হ্ +ঋ=হৃ   হ্ +এ =হে  +ঐ=হৈ হ্ +ও =হো  হ্ +ঔ=হৌ