কেতু
বানান
বিশ্লেষণ :
ক্+এ+ত্+উ।
উচ্চারণ: ke.t̪u
(কে.তু)
কে.তু [কে এবং তু ধ্বনি দুটি একাক্ষর সৃষ্টি করে]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
केतु
(কেতু)>বাংলা
কেতু।
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ: কেতু {√চায়>কে (পূজা
করা) +
তু (তুন্),
কর্মবাচ্য}
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ:
হিন্দু
পৌরাণিক কাহিনি
মতে–
ইনি
দানব নামেই পরিচিত।
দানব
বিপ্রচিত্তির ঔরসে ও
সিংহিকার গর্ভে এঁর জন্ম হয়।
উল্লেখ্য,
সমুদ্রমন্থন শেষে উত্থিত অমৃত অসুরদের বঞ্চিত করে দেবতারা পান করেছিল।
ইনি কৌশলে গোপনে অমৃতপান করতে থাকলে চন্দ্র ও সূর্য এঁকে চিনতে পেরে অন্যান্য
দেবতাদের জানান।
এই সময়
বিষ্ণু এঁর দুই বাহু মাথা কেটে দেন।
কিছুটা অমৃত পান করায় এই দানব ছিন্নমস্তক হয়ে অমরত্ব লাভ করেন।
এঁর মস্তকভাগ রাহু ও দেহভাগ কেতু নামে পরিচিত।
সূত্র:
অগ্নিপুরাণ, তৃতীয় অধ্যায়। অনুবাদ পঞ্চানন তর্করত্ন। নবভারত পাবলিশার্স, ১৯৯৯।
বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
মৎস্য পুরাণ, ২৫২ অধ্যায়। অনুবাদ পঞ্চানন তর্করত্ন। নবভারত পাবলিশার্স, ১৪০৬।
মহাভারত। ঊনবিংশ অধ্যায়। রাহুর মস্তকচ্ছেদ। কালিপ্রসন্ন সিংহের অনুবাদ।
শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
সরল বাঙ্গালা অভিধান। সুবলচন্দ্র মিত্র।