ও
আন্তর্জাতিক
ধ্বনিলিপি:
o
ইউনিকোড:
u+0993
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন |
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
এই বর্ণের নাম
-ও।
বাংলা বর্ণমালার এবং
স্বরবর্ণের
দশম
বর্ণ।
ব্যঞ্জনবর্ণের
সাথে এই বর্ণ যুক্ত হয়ে
ো
'(ও-কার)
চিহ্ন হিসাবে বসে।
যেমন : ক্ +ও
= কো।এর কার চিহ্ন =ো।
ও-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা
লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি থেকে ও-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে।
ব্রাহ্মীলিপিতে এই বর্ণটি তৈরি হয়েছিল তিনটি সরল রেখার সমন্বয়ে।
এর প্রধান রেখাটি ছিল বাম দিকে হেলান।
পরে এই চিহ্নটি হয়েছিল ইংরেজি জেড বর্ণের মতো।
খ্রিষ্টীয় ১ম দশকের শেষে এই বর্ণটি ত্রিভুজের আকার ধারণ করেছিল।
নিচে
ব্রাহ্মীলিপি'র এই পরিবর্তনের ধারাটি দেখানো হলো।
কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) যুক্ত আনুভূমিক রেখা কিছুটা বক্র হয়েছে। গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) দেখা যায় যে,এর নিচের রেখাটি ঘুরে অর্ধ-বৃত্তের সৃষ্টি করেছে। নিচের চিত্রে কুষাণলিপি থেকে কুটিললিপি পর্যন্ত ও-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো।
আদি কুটিললিপিতে এই লিপিটি ছিল অনেকটা ড-বর্ণের মতো। পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ খ্রিষ্টীয় একাদশ শতাব্দী থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত কুটিল লিপির বিবিধ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আমাদের আজকের ও-এর চেহারা পাওয়া গেছে দ্বাদশ শতাব্দী থেকে। নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত ও-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো।
ও
এর উচ্চারণ প্রকৃতি []
স্বরধ্বনি,
মৌলিক, সংবৃত-মধ্য, পশ্চাৎ,
বর্তুলাকার।
এই ধ্বনি
উচ্চারণের সময়
জিহ্বা পশ্চাৎ-তালু বরাবর উঠবে এবং তালু ও জিহ্বার মধ্যবর্তী
অঞ্চলের স্থানকে সঙ্কুচিত করবে।
কিন্তু ঠোঁট গোলাকৃতি ধারণ করবে।
উল্লেখ্য,
বর্তুলাকার স্বরধ্বনিগুলোর ভিতর অ-ধ্বনিটির ক্ষেত্রে দেখা যায়, ঠোঁট
দুটো বড় ধরনের গোলাকার অবস্থায় পৌঁছায়।
মাঝারি ধরনের গোলাকার
অবস্থার সৃষ্টি হয়- ও-এর ক্ষেত্রে।
কিন্তু উ উচ্চারণের সময়,
ঠোঁট দুটো গোলাকার হয়ে সর্বোচ্চ সঙ্কোচন মাত্রায় পৌঁছায়।
এই বিচারে এই ৩টি ধ্বনি উচ্চারণের ক্রমমান হলো-
অ>ও>উ