পীঠস্থান
বানান বিশ্লেষণ : প্+ঈ+ঠ্+অ+স্+থ্+আ+ন্।
উচ্চারণ: পি.ঠোস্.থান্

শব্দ-উৎস:
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: পিঠের (অধিষ্ঠানের) স্থান/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  {  | হিন্দু পৌরাণিক স্থান | পৌরাণিক স্থান | বিশ্বাস | প্রজ্ঞা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}}

অর্থ: হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে মর্তের ৫১টি তীর্থস্থান বিশেষ। উল্লেখ্য, দক্ষের যজ্ঞানুষ্ঠানে মহাদেব-এর  নিন্দা সহ্য করতে না পেরে, তাঁর স্ত্রী সতী দেহত্যাগ করেন। এই কারণে মহাদেব দক্ষের যজ্ঞ পণ্ড করে দেন। পরে তিনি সতীর মৃতদেহ নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য করতে থাকেন। এর ফলে পৃথিবী ধ্বংসের উপক্রম হলে, বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর দেহকে ৫১টি ভাগে বিভক্ত করেন। এই খণ্ডগুলো পৃথিবীর ৫১টি স্থানে পতিত হয়। এই ৫১টি পতিত স্থানই পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এই পবিত্র স্থানগুলোকেই পীঠস্থান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পীঠস্থানকে মোট ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগগুলো হলো- মহাপীঠ (৫১টি), উপপীঠ (বহু, কোন কোনমতে ২৬টি), সিদ্ধপীঠ (বহু)। কোন কোন ক্ষেত্রে পীঠ ও উপপীঠ নির্দেশনায় মতান্তর লক্ষ্য করা যায়।  

প্রতিটি পীঠস্থানের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট অধিষ্ঠাত্রী দেব-দেবী। এঁরা মূলত ভৈরব বা ভৈরবী নামেই পরিচিত। নিচে মহাপীঠ ও উপপীঠের তালিকা ও তাদের অধিষ্ঠাত্রী দেব-দেবীর (ভৈরব-ভৈরবী) পরিচয় দেওয়া হলো। সূত্র : বাঙ্গালা ভাষার অভিধান/জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস।