আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি
:
ɔ
ইউনিকোড: u+09AB
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms):

এই বর্ণের নাম - বাংলা বর্ণমালার ত্রয়স্ত্রিংশ (৩৩) বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের  ২২ সংখ্যক এবং প বর্গের দ্বিতীয় বর্ণ

স্বাধীনভাবে উচ্চারণযোগ্য রূপ হলো ফ্ +অ=প
ওষ্ঠাধর ধ্বনি (bilabial) , অঘোষ, মহাপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ
                                   
শ্রবণ নমুনা

-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে ফ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত ব্রাহ্মীলিপিতে ফ-এর চিহ্ন ছিল- মাত্রাহীন ঢ-এর মতো খ্রিপূর্ব ৩০০-১০০ অব্দের ভিতরে এই চিহ্নটি ত-এর মতো হয়ে গিয়েছিল নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপিতে ফ-বর্ণের ক্রমবিবর্তন দেখানো হলো।  

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) ত-এর নিম্নাংশ সরল হয়েছিল এর অপর সংস্করণটি সম্ভবত লিপিকারের হাতে জড়ানো অবয়ব পেয়েছিল গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) বিভিন্ন লিপিকারদের হাতে বিভিন্ন রূপ লাভ করেছিল।  নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ক-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

কুটিললিপি (খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দী) প্রথম দিকে মোটামুটিভাবে গুপ্তলিপি চিহ্ন গ্রহণ করা হয়েছিল কিন্তু পরে এটি আধুনিক ফ-বর্ণের রূপ লাভ করেছিল পরবর্তীকালে ১২শ শতাব্দীর লিপি ছাড়া বাকি সময়গুলোতে ফ-এর চিহ্ন মোটামুটিভাবে আধুনিক ফ-এর মতই ছিল।  নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ফ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো