ষ
আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি :
ʃɔ
ইউনিকোড: u+09B7
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন |
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms):
ষ।
এই বর্ণের নাম
-ষ
।
বাংলা বর্ণমালার
একচত্বারিংশ (৪১)
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
৩০ সংখ্যক
বর্ণ।
ষ-এর উচ্চারণ
১.
স্বাধীনভাবে উচ্চারণযোগ্য
রূপ হলো- ষ +অ=ষ।
এটি
পশ্চাৎ
দন্ত্যমূলীয়,
উষ্ম,
অঘোষ,
স্বল্পপ্রাণ ধ্বনি
।
বাংলাতে এর উচ্চারণ শ-এর
মতো।
ট এবং ঠ এর সাথে যুক্তাবস্থায় এটি দন্ত্যমূলীয় ধ্বনি হিসাবে বিবেচিত হয়।
২. তৎসম শব্দে ষ্-এর
সাথে অন্য বর্ণযুক্ত হলে তার উচ্চারণ শ-এর মতো হয়। যেমন-
ষ্+ক=ষ্ক। [পরিষ্কার, শুষ্ক]
ষ্+ক্+ঋ=ষ্কৃ [পরিষ্কৃত]
ষ্+ক্+র=ষ্ক্র [নিষ্ক্রিয়]
ষ্+ট্=ষ্ট [কষ্ট, কৃষ্টি, বৃষ্টি, বেষ্টন]
ষ্+ট্+য=ষ্ট্য [বৈশিষ্ট্য]
ষ্+ট্+র্=ষ্ট্র [রাষ্ট্র]
ষ্+ঠ=ষ্ঠ [নিষ্ঠুর, ষষ্ঠ]
ষ্+ঠ্+য=ষ্ঠ্য [ঔষ্ঠ্য]
ষ্+ণ=ষ্ণ [কৃষ্ণ, বিষ্ণু]
ষ্+ণ্+য=ষ্ণ্য [ঔষ্ণ্য]
ষ্+প=ষ্প [পুস্প]
ষ্+প্+র=ষ্প্র [নিষ্প্রয়োজন]
ষ্+ফ=ষ্ফ [নিষ্ফল]
ষ্+ব=ষ্ব [অগ্নিষ্বাৎ। এই ক্ষেত্রে ব-ফলার কারণে ষ-এর উচ্চারণ হবে দুইবার। উচ্চারণ রূপ=অগ্নিশ্-শাত্]
ষ্+ম= ষ্ম [ষ্ম-এর উচ্চারণ-এর প্রভেদ লক্ষ্য করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ষ্ম-এর উচ্চারণ হয় শ্+ম=এর মতো। গ্রীষ্ম এবং এই শব্দের সাথে সম্পর্কিত শব্দগুলোর উচ্চারণ হয় শ্.শোঁ-এর মতো।
- শ্+ম্ উচ্চারণ: উষ্ম, উষ্মা, ঔষ্ম্য, কুষ্মাণ্ড (কু+উষ্ম+অণ্ড)]
- শ্+শঁ উচ্চারণ: গ্রীষ্ম, গ্রীষ্মাবকাশ, গ্রৈষ্ম্য, গ্রৈষ্মিক।
ষ্+য= ষ্য [শিষ্য। এক্ষেত্রে ষ-এর দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়ে। যেমন- শিশ্.শো]
ষ-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি
থেকে ষ উদ্ভূত হয়েছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে এর আকৃতি ছিল ইংরেজি তীর্যক ই-বর্ণের মতো।
খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতাব্দীতে এই বর্ণটিই আরও কয়েকটি প্রকারণ পাওযা গেছে।
নিচের ছকে এই বিবর্তিত রূপগুলোর নির্দশন তুলে ধরা হলো।
কুষাণলিপিতে এই বর্ণটির একালের ষ-এর রূপ পেয়েছিল। গুপ্তলিপিতে এই বর্ণের আকার অনেকটা আধুনিক য-এর রূপ লাভ করেছে। নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত শ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো।
কুটিললিপিতে আধুনিক ষ-এর রূপ অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। পরবর্তী কালের সকল ষ-ই বিভিন্ন লিপিকারদের হাতে সামান্য হেরফের হয়েছে মাত্র। নিচের ছকে এই পরিবর্তনের দেখানো হলো।
সূত্র :