আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি : ɖɔ
ইউনিকোড :  u+09A1
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms):


এই বর্ণের নাম - বাংলা বর্ণমালার চতুর্বিংশ (২৪) বর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের ত্রয়োদশ এবং -বর্গের তৃতীয় বর্ণ। এর মূল ধ্বনি অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর এর চিহ্ন দাঁড়ায়

দন্তমূলীয় প্রতিবেষ্টিত (Alveolar Retroflex), ঘোষ, অল্পপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ
                                    
শ্রবণ নমুনা

-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে ড-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত ব্রাহ্মীলিপিতে দেখা যায়, এই বর্ণটি তিনটি রেখার সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এর একটি রেখা নুভূমিক এবং সরল অপর দুটি রেখা অনুভূমিক রেখার দুই প্রান্তে যুক্ত রয়েছে এর ভিতরের ডান পাশের রেখা নিম্নমুখী এবং ডান দিকের রেখা উর্ধ্বমুখী খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০-১০০ অব্দের ভিতরে এই বর্ণটি বিচিত্রভাবে পরিবর্তিত হয়েছে নিচে ব্রাহ্মীলিপির ক্রমবিবর্তনের নমুনা দেখানো হলো

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণটির বিভিন্ন প্রকরণ লক্ষ্য করা যায় এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য প্রকরণটি ছিল উল্টা ড-এর মতো এইরূপটিই গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) প্রথম দিকে দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা আধুনিক ড-এর আকার ধারণ করেছিল নিচের ছকে কুষাণলিপি থেকে কুটিললিপি পর্যন্ত ড-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

৬ম-৯ম শতাব্দীতে কুটিললিপিতে পাওয়া ড-বর্ণটি বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ১৭শ শতাব্দীতে তা একটি স্থির রূপ লাভ করেছিল নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ড-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো