আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি : ɖʰɔ
ইউনিকোড : u+09A2
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms): :

এই বর্ণের নাম - বাংলা বর্ণমালার পঞ্চবিংশ (২৫) বর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের চতুর্দশ এবং -বর্গের চতুর্থ বর্ণ। এর মূল ধ্বনি ঢ্অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর এর চিহ্ন দাঁড়ায়

দন্তমূলীয় প্রতিবেষ্টিত (Alveolar Retroflex), ঘোষ, মহাপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ
                                  শ্রবণ নমুনা

-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে ঢ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত ব্রাহ্মীলিপিতে দেখা যায়, উল্টা প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো খ্রিপূর্ব ৩য়-১ম শতাব্দীর ভিতরে এই বর্ণটির খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপির ক্রমবিবর্তনের ধারা দেখানো হলো

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিস্টাব্দ) এই বর্ণটির বিভিন্ন প্রকরণ দেখা গেলেও দুএকটি প্রকরণ একেবারেই আধুনিক ঢ-এর মতো কিন্তু গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) এসে দেখা যায় বর্ণটি আবার ব্রাহ্মীলিপির মতো হয়ে গেছে কুটিললিপিতে এই পরিবর্তন আরও বিচিত্রভাবে লক্ষ্য করা যায়। নিচের ছকে কুষাণলিপি থেকে কুটিললিপি (৬০০-৯০০ খ্রিষ্টাব্দ) পর্যন্ত ঢ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে প্রাপ্ত কুটিললিপিতে প্রথম দিকের  গুপ্তলিপির ঢ বর্ণটিই গৃহীত হয়েছিল এরপর বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ১৭শ শতাব্দীর পরে আধুনিক ঢ-বর্ণটি বাংলায়-বর্ণমালায় স্থান পেয়েছে নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ঢ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো