আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি :
ইউনিকোড : u+09A3
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ : , মূর্ধন্য 'ণ'।

এই বর্ণের নাম -, মূর্ধন্য 'ণ' বাংলা বর্ণমালার ষড়বিংশ (২৬) বর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের পঞ্চদশ এবং -বর্গের পঞ্চম বর্ণ। এর মূল ধ্বনি ণ্অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর এর চিহ্ন দাঁড়ায়

দন্তমূলীয় প্রতিবেষ্টিত (Alveolar Retroflex) অনুনাসিক, ও স্পর্শ বর্ণ
                                  
শ্রবণ নমুনা

 

ণ-এর লিপি পরিচিতি

অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে ণ উদ্ভূত হয়েছে প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত ব্রাহ্মীলিপিতে ণ-এর আকার ছিল ইংরেজি আই অক্ষরের মতো এই বর্ণটি খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০-১০০ অব্দের ভিতরে মোটামুটি একই রকম ছিল নিচের ছকে এই লিপির ক্রমবিবর্তন দেখানো হলো

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) ণ-এর চিহ্নের পরিবর্তন ঘটেছিল এক্ষেত্রে একটি নিম্নমুখী অর্ধচন্দ্রের উপরে একটি উলম্ব রেখা যুক্ত হয়েছিল গুপ্তলিপিতে(৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণটি বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়।  নিচের ছকে কুষাণলিপি থেকে কুটিললিপি (৬০০-৯০০ খ্রিষ্টাব্দ) পর্যন্ত ণ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

 

 

আদ্য কুটিললিপিতে এই বর্ণটি চেহারা দাঁড়িয়েছিল অনেকটা ফ-এর মতো এর একটি প্রকরণ ছিল আনুভূমিক রেখার সাথে ঝুলন্ত তিনটি রেখাবিশিষ্টখ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীর ণ, ১০ম-১১শ শতাব্দীতে ল-এর মতো হয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তী ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত এই বর্ণটি ল-এর বিভিন্ন প্রকরণ ছিল মাত্র ১৭শ শতাব্দীতে এই বর্ণটি আধুনিক ণ-এর রূপ করেছিল নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ণ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো