ট
আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি :
ʈɔ
ইউনিকোড : u+099F
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন
|
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms)
:
ট।
এই বর্ণের নাম
-ট
।
বাংলা বর্ণমালার
দ্বাবিংশ (২২)
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
একাদশ
বর্ণ।
ব্যঞ্জনবর্ণের পাঁচটি বর্গের
তৃতীয় বর্গের শ্রেণী
পরিচিতি মূলক নাম: ট-বর্গ
এবং এই বর্গের প্রথম বর্ণ।
এর মূল ধ্বনি ট্।
অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর
এর চিহ্ন দাঁড়ায় ট।
দন্তমূলীয় প্রতিবেষ্টিত, অঘোষ, অল্পপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ।
ট-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি থেকে ট-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে।
প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত
ব্রাহ্মীলিপিতে
'ট'-এর আকার ছিল ইংরেজি
C বর্ণের মতো।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩য়-১ম অব্দের ভিতরে
ব্রাহ্মীলিপির এই বর্ণটি প্রায় একই রকমের ছিল।
নিচের ছকে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০-১০০ অব্দের ভিতরে
ব্রাহ্মীলিপির
এই বর্ণটির পরিবর্তনের
ধারা তুলে ধরা হলো।
কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) ট-এর চেহারা ব্রাহ্মীলিপির মতেই ছিল। গুপ্তলিপি (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) ও কুটিললিপি (৬০০-৯০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছিল। নিচের ছকে কুষাণলিপি থেকে কুটিললিপি পর্যন্ত ট-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো।
খ্রিষ্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে বাংলা ট-এর আধুনিক রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল এবং ১৬শ শতাব্দীতে এই বর্ণটি পুরোপুরি আধুনিক হয়ে উঠছিল। নিচের ছকে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ট-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো।