ঠ
১.
আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি :
ʈʰɔ
ইউনিকোড : u+099F
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন
|
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms):
:
ঠ।
এই বর্ণের নাম
-ঠ
।
বাংলা বর্ণমালার
ত্রয়োবিংশ (২৩)
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
দ্বাদশ
এবং
ট-বর্গের
দ্বিতীয় বর্ণ। এর মূল
ধ্বনি ঠ্।
অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর
এর চিহ্ন দাঁড়ায় ঠ।
দন্তমূলীয় প্রতিবেষ্টিত (Alveolar
Retroflex),
অঘোষ,
মহাপ্রাণ
ও স্পর্শ বর্ণ।
ঠ-এর
লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি থেকে ঠ উদ্ভূত হয়েছে।
প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত
ব্রাহ্মীলিপিতে ঠ-এর আকার বৃত্তের মতো।
খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ অব্দের লিপিতে এই বৃত্তের উপরের ডান দিকে মাত্রা যুক্ত হয়েছিল।
পরবর্তী শতাব্দীতে এই মাত্রা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
নিচের ছকে
ব্রাহ্মীলিপির
ক্রমবিবর্তনের ধারা দেখানো হলো।
কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) ঠ-এর চেহারা ব্রাহ্মীলিপির মতেই বৃত্তাকার ছিল,তবে এই বৃত্ত উপর-নিচ বরাবর চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছিল। গুপ্তলিপি (৪০০-৫০০ খ্রিস্টাব্দ) কুটিললিপিতে এই লিপির কিছু ভিন্ন প্রকরণ পাওয়া গেলেও এর মূল রূপ বৃত্তাকারই ছিল। নিচের ছকে কুষাণলিপি থেকে কুটিললিপি পর্যন্ত ঠ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো।
তবে ৯ম-১১শ শতক পর্যন্ত এই বর্ণটি বৃত্তাকার হিসাবে পাওয়া যায়। মাঝে ১২শ শতাব্দীতে এর চিহ্ন ২-এর মতো হলেও,পুনরায় ১৪শ শতাব্দীতে আবার তা বৃত্তে পরিণত হয়েছিল। ১৫শ শতকে দেবনাগরীর ঠ-এর আকার ধারণ করেছিল। এবং ১৬শ শতাব্দীতে বাংলা ঠ চিহ্নটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এই চিহ্নটি স্থায়িত্ব লাভ করে ১৭শ শতাব্দীর পরে। নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ঠ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো।
ঠ
২. সংস্কৃত কৃৎ
দেখুন : ঠ-প্রত্যয়