যোগাযোগ
বানান বিশ্লেষণ: য্+ও+গ্+আ+য্+ও+গ্+অ।
উচ্চারণ:
ɟo.ga.ɟog
(জো.গা.জোগ্)
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
যোগাযোগ | বিমূর্তন
| বিমূর্ত-সত্তা
| সত্তা
}
অর্থ
: একটি সত্তার সাথে অন্য একটি সত্তার যুক্ত থাকা বা হওয়াটা একটি ঘটমান দশা।
একই ভাবে দুটি সত্তা পরস্পর থেকে বিযুক্ত হওয়াটাও একটি ঘটমান দশা।
এরূপ দুটি দশার পুনপুন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ ঘটে। ধরা যাক, একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের পরস্পরের কাছে এলো।
এটা হবে উভয়ের জন্য যুক্ত দশা। যতক্ষণ এরা যুক্ত থাকবে, ততক্ষণ একটি স্থায়ী সংযোগ থাকবে।
কিন্তু লোক দুটি পরস্পরের সাথে কিছু সময় যুক্ত থাকার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো।
এর ফলে উভয়ের ভিতরে অযোগ দশার সৃষ্টি হবে। যদি লোক দুটির ভিতরে বারবার এরূপ যোগ ও অযোগ দশায় চলতে থাকে, তবে তাকে বলা হবে যোগাযোগ।
সূত্র:
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮। পৃষ্ঠা: ৬১৪
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১। পৃষ্ঠা: ১৮৭৩
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫। পৃষ্ঠা: ১০১৩-১৪
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০। পৃষ্ঠা: ১৮২৪
- ব্যবহারিক শব্দকোষ। কাজী আব্দুল ওদুদ। প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী। কলিকাতা। পৃষ্ঠা: ৮৮৮
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৭৫৩
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫। পৃষ্ঠা: ৭১৯
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২। পৃষ্ঠা: ৭২৯
- সরল বাঙ্গালা অভিধান। সুবলচন্দ্র মিত্র। পৃষ্ঠা: ১০৯৬
wordnet 2.1