১. ধাতুর
স্বরধ্বনির গুণ বা বৃদ্ধি ঘটে। এক্ষেত্রে স্বরধ্বনির পরিবর্তন
ঘটে। এক্ষেত্রে অ ধ্বনি হয় আ, ই
ধ্বনি এ, উ ধ্বনি হয় ও হয় । যেমন-
অ>আ সম্-√তন্
(বিস্তার করা) +অ
(ঘঞ্),ভাববাচ্য
=সন্তান
এরূপ অন্যান্য
পদ :
√কল্>কাল,
√পচ্>পাক,
√পঠ্ >পাঠ,
√ভজ্>ভাগ,
প্র-√অন্>প্রাণ
ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম :
√ক্রম্>ক্রম
ই>এ
√বিধ্
(ছিদ্রকরণ) +
অ (ঘঞ্)=বেধ
এরূপ অন্যান্য পদ :
√কিৎ>কেত,
√ক্ষিপ্>√ক্ষেপ
√বিশ্>বেশ,
√লিহ্ >লেহ
উ>ও
√লুভ্ (লাভ করা) +অ (ঘঞ্) =লোভ
।
এরূপ অন্যান্য
পদ :
√কুপ্>কোপ,
√কুষ্>কোষ,
√শুচ্
>শোক
ব্যতিক্রম :
√কুণ্ড>কুণ্ড,
ঋ>অর
√
ঋধ্ (বৃদ্ধি পাওয়া) +
অ (ঘঞ্)=
অর্ধ
ব্যাতিক্রম : ঊহ্ ধাতুর পরে ঘঞ্ প্রত্যয় যুক্ত হলে- উৎপন্ন
শব্দে শুধু মাত্র অ ধ্বনি যুক্ত হয়। যেমন-
√ঊহ (তর্ক করা) +অ (ঘঞ্)। ভাববাচ্য। ঊহ (বিতর্ক)
২. এই প্রত্যয় যুক্ত হলে, কোনো কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়। এক্ষেত্রে ধাতুর শেষের চ ধ্বনি ক, জ ধ্বনি গ হয়। এই প্রত্যয় যোগে উৎপন্ন পদ ভাববাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, সম্প্রদানবাচ্য ও অপাদানবাচ্য হয়। যেমন–
চ>ক √পচ্ (পাক করা) +অ (ঘঞ্)।
ভাববাচ্য। =পাক
√চি
(চয়ন করা) +
অ
(ঘঞ্)=
কায়
জ>গ
√ভজ্ (ভাগ করা) +অ (ঘঞ্)।
কর্মবাচ্য। =ভাগ
√তুন্জ্
(হিংসা)+অ
(ঘঞ্),
কর্মবাচ্য=তুঙ্গ
যে সকল ক্রিয়ামূলের সাথে এই প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন পদ তৈরি হয়, তার ভিতরে যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়– তার তালিকা দেওয়া হলো।
প্র + √অন্ (বাঁচা) +অ (ঘঞ্)=প্রাণ।
√কুণ্ড্ (দাহ করা, রক্ষা করা) +অ (ঘঞ্)= কুণ্ডঅহম্+√কৃ (করা)+অ (ঘঞ্)=অহংকার, অহঙ্কার
√ক্ষুদ্(চূর্ণ করা) +অ (ঘঞ্)=ক্ষোদ
√গর্ব্ব (ক্ষরিত হওয়া) +অ (ঘঞ্)=গর্ব্ব>গর্ব√চি (চয়ন করা) +অ (ঘঞ্)=কায়
Ö তুষ্ (তুষ্টি) +অ (ঘঞ্)} =তুষ
অব-√তৄ (গমন করা)+অ (ঘঞ্)=অবতার
√দিব্ (দীপ্ত হওয়া)+ অ (ঘঞ্)=দিব
√দৃপ (গর্ব) + অ (ঘঞ্)=দর্প
Öপিণ্ড্ (রাশি করা) +অ (ঘঞ্)=পিণ্ড
√পৄ (পূরণ, পালন) +অ (ঘঞ্)=পুর
√বণ্ (শব্দ করা)+অ (ঘঞ্)=বাণ
Öবস্ (বাস করা) +অ (ঘঞ্) =বাসÖভিদ্ (ভেদ করা)+ অ (ঘঞ্) =ভেদ
√ভৃ (পোষণ করা) +অ (ঘঞ্)=ভার√মুদ্ (হর্ষ) +অ (ঘঞ্) =মোদ
√রম্ (আসক্তি) +অ (ঘঞ্)=রাম
আ-√লপ্ (কথন) +অ (ঘঞ্)=আলাপ
√হ্লাদ্ (আহ্লাদ) +অ (ঘঞ্)=হ্লাদ