অ (ঘঞ্)
সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয়। এই প্রত্যয় ক্রিয়ামূলের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় 'ঘ্ঞ্' ইত্ হয় এবং অ ধাতুর সাথে যুক্ত হয়। একই সাথে ক্রিয়ামূলের বানানে রূপান্তর ঘটায়। যেমন-
  • ২. এই প্রত্যয় যুক্ত হলে, কোনো কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়। এক্ষেত্রে ধাতুর শেষের চ ধ্বনি ক, জ ধ্বনি গ হয়। এই প্রত্যয় যোগে উৎপন্ন পদ ভাববাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, সম্প্রদানবাচ্য ও অপাদানবাচ্য হয়। যেমন

            চ>ক    পচ্ (পাক করা) +অ (ঘঞ্)। ভাববাচ্য। =পাক
                      
চি (চয়ন করা) + অ (ঘঞ্)= কায়
            জ>গ   
ভজ্ (ভাগ করা) +অ (ঘঞ্)। কর্মবাচ্য। =ভাগ
                      
তুন্‌জ্ (হিংসা)+অ (ঘঞ্), কর্মবাচ্য=তুঙ্গ

 

যে সকল ক্রিয়ামূলের সাথে এই প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন পদ তৈরি হয়, তার ভিতরে যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়  তার তালিকা দেওয়া হলো।

প্র + অন্  (বাঁচা) +অ (ঘঞ্)=প্রাণ
কুণ্ড্ (দাহ করা, রক্ষা করা) +অ (ঘঞ্)= কুণ্ড

অহম্+কৃ (করা)+অ (ঘঞ্)=অহংকার, অহঙ্কার

ক্ষুদ্(চূর্ণ করা) +অ (ঘঞ্)=ক্ষোদ
গর্ব্ব (ক্ষরিত হওয়া) +অ (ঘঞ্)=গর্ব্ব>গর্ব

চি (চয়ন করা) +অ (ঘঞ্)=কায়

Ö তুষ্ (তুষ্টি) +অ (ঘঞ্)} =তুষ

অব-তৄ (গমন করা)+অ (ঘঞ্)=অবতার

দিব্ (দীপ্ত হওয়া)+ অ (ঘঞ্)=দিব

দৃ (গর্ব) + অ (ঘঞ্)=দর্প

Öপিণ্ড্ (রাশি করা)  +অ (ঘঞ্)=পিণ্ড

পৄ (পূরণ, পালন) +অ (ঘঞ্)=পুর
বণ্ (শব্দ করা)+অ (ঘঞ্)=বাণ
Öবস্ (বাস করা) +অ (ঘঞ্) =বাস

Öভিদ্ (ভেদ করা)+ অ (ঘঞ্) =ভেদ
ভৃ (পোষণ করা) +অ (ঘঞ্)=ভার

মুদ্  (হর্ষ) +অ (ঘঞ্) =মোদ

রম্ (আসক্তি) +অ (ঘঞ্)=রাম
-লপ্ (কথন) +অ (ঘঞ্)=আলাপ
হ্লাদ্  (আহ্লাদ) +অ (ঘঞ্)=হ্লাদ