পূর্বপুরুষ
যে ব্যক্তি দূর অতীতে
জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁরই সূত্রে বংশ-পরম্পরায় সন্তানাদি জন্মগ্রহণ করেছে।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ পূর্বপুরুষ |
জ্ঞাতি |
আত্মীয় |
ব্যক্তি
| জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু
|
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
ইংরেজি:
ancestor,
ascendant, ascendent, antecedent, root।
ব্যাখ্যা: পিতৃকুল ও
মাতৃকুল মিলে যে বিশাল আত্মীয়বর্গের সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় জ্ঞাতিগোষ্ঠী। কিন্তু
পিতৃতান্ত্রিক সমাজে 'পিতার পিতা' এই সূত্রের ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে
'পূর্বপুরুষ' ধারণা। এই বিচারে দূর অতীতের আনুমানিক কোনো আদ্যপুরুষ থেকে পিতা
পর্যন্ত পূর্বপুরুষের ভিতরে ধরা হয়। পূর্ব-পুরুষের এই বিশাল তালিকার সদস্যদের দুটি
ভাগে ভাগে করা যায়। এই ভাগ দুটি হলো-
দূর পূর্ব-পুরুষ (antecedent, root): কোনো বংশধারার আদি স্তরে রয়েছে এবং যা সুনির্দিষ্টভাবে বংশপরম্পার সাথে সম্পর্কিত করার পরিবর্তে একটি আনুমানিক ধারণা পোষণ করা হয়।
নিকট পূর্ব-পুরুষ (progenitor, primogenitor): পিতা থেকে দূর অতীতের পূর্বপুরুষদের এমন একটি তালিকা, যেখান থেকে কোনো বংশ ধরা সচল হয়েছে এবং যাঁর সাথে শেষ প্রজন্মের মানুষ তাঁর জন্ম-পরম্পরা রক্ষা করতে পারে।