ন্যায়পরায়ণতা
নৈতিকতার বিচারে যা যথার্থ, সে রূপ আচরণ বা বিচার করা বা তার ভাব।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { ন্যায়পরায়ণতা | নৈতিকতা | বৈশিষ্ট্য-গুণ | সত্তাগুণ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্তা | সত্তা | }
ইংরেজি:
righteousness

ব্যাখ্যা:
মানুষ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয়গুলোর বিচার করে। নৈতিকার বিচারে এর একটি মানদণ্ড তৈরি হয়। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের নৈতিকতার মানদণ্ড ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আবার একটি সমাজের সদস্যদের মানদণ্ডের গড় মানও নিরূপিত হতে পারে। যেভাবে হোক যখন নৈতিকতার মানদণ্ড তৈরি হয়ে যায়, তখন তার বিচারে যথার্থ আচরণ বা ভাবদশা হলো ন্যায়পরায়ণতা।

যদিও মানুষের ন্যায়-অন্যায় ভাবগত দশা থেকে নৈতিকতা এবং ন্যায়পরাণয়তার উদ্ভব হয়, কিন্তু মানুষ কল্যাণকর আচরণ বা ভাবকে ন্যায়পরাণয়তা ভাবতে অভ্যস্থ হয়ে ওঠে। বাস্তবে যথার্থ ন্যায়পরাণয়তা  নিরপেক্ষ। তা কারো পক্ষে ক্ষতিকর, কারো পক্ষে লাভজনক হতে পারে। যথার্থ ন্যায়পরাণয়তা থেকে উদ্ভব হয় সততা।