৯-কারাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এটি শলভাসন একটি প্রকরণ। দেবনাগরী বর্ণামালায় ৯ নামক বর্ণের ন্যায় দেহভঙ্গিমা এই আসনে লক্ষ্য করা যায়। এই কারণে এর এরূপ নামকরণ এরূপ করা হয়েছে। এই আসন মূলত বিপরীত শলভাসনের মতোই। বিপরীত শলভাসনে হাত দুটো সোজা প্রসারিত থাকে। কিন্তু ৯-কারাসনে হাত দুটো ভাঁজ করে বুকের সাথে যুক্ত করা হয়। ফলে, শরীরের পুরো ভারসাম্য রক্ষিত হয় বুক দ্বারা।
পদ্ধতি
১. প্রথমে উপুর হয়ে মাটিতে শুয়ে
শলভাসন
পদ্ধতি আসন করে নিন।
২. এবার প্রসারিত দুই হাতের উপর ভর করে পা দুটো উপরের দিকে উঠিয়ে,
মাথার উপরে নিয়ে আসুন।
৩. এবার পা দুটোকে ভাঁজ করে বুকের সাথে যুক্ত করুন।
৪. এই অবস্থানে স্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ১০ সেকেণ্ড স্থির হয়ে থাকুন।
৫. তারপর ধীরে ধীরে পা নামিয়ে
শবাসনে
১০ সেকেণ্ড বিশ্রাম নিন।
৬. এরপর আসনটি আরও দুইবার করুন।
সতর্কতা
উচ্চ-রক্তচাপ যাঁদের রয়েছে বা যাঁদের হৃদরোগ আছে,
আমাশয় আছে,
প্লীহা,
যকৃত বড় আছে,
তাঁরা এই আসনটি করবেন না।
উপকারিতা
১. কোমরের ও মেরুদণ্ডের ব্যাথা দূর হয়।
২. গেটেবাত,
স্পন্ডিলোসিস রোগের উপশম হয়।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য,
অজীর্ণ,
পেটের বায়ু প্রশমিত হয়।
৪. পেট ও উরুর মেদ কমে যায়।
৫. মাথায় প্রচুর রক্তসঞ্চালনের কারণে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়,
মাথার অবসাদ দূর হয়।
সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক