নটরাজাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত একটি প্রাণায়াম বিশেষ। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে নৃত্যকলার প্রবর্তন করেছিলেন মহাদেব। এই কারণে অপর নাম নটরাজ এঁর বিশ্ব ধ্বংসের সময়কার নৃত্যকে তাণ্ডব নৃত্য বলা হয় গজাসুর ও কালাসুর নিধন করেও মহাদেব তাণ্ডব নিত্যে রত হয়েছিলেন অন্যমতে উত্তেজক দ্রব্য পানের পর ইনি স্ত্রীর সঙ্গে তাণ্ডব নৃত্য করতেন নটরাজের তিন প্রকার মূর্তি পাওয়া যায় এই প্রকার তিনটি হলো সন্ধ্যানৃত্য, সদানৃত্য ও তাণ্ডবনৃত্য নটরাজ বা মহাদেবের নৃত্যশীল দেহভঙ্গিমা অনুসারে এই আসনের নামকরণ করা হয়েছে।

পদ্ধতি
১. প্রথমে দুই পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান।
২. ডান পায়ে ভর দিয়ে, বাম পা-কে প্রসারিত করে সামনে মেলে ধরুন।
৩. এবার ডান পায়ের তালু বাম পায়ের হাঁটু বরাবর আনুন। এই সময় বাম পায়ের গোড়ালি ও ডান পায়ের হাঁটুর মধ্যে ১ ফুট পরিমিত ফাঁক থাকবে।
৪. এই অবস্থায় ডান পায়ের অগ্রভাগকে সামনের দিকে কিছুটা বাড়িয়ে দিন।
৫. এবার ডান হাতের কনুইতে কিছুটা ভাঁজ রেখে, হাত প্রসারিত করুন। এই হাতের অগ্রভাগ মাটির দিকে নির্দেশিত থাকবে।
৬. বাম হাতের কনুই থেকে ভাঁজ করে, হাতকে উর্ধমুখী করুন। এই হাতের তালু প্রসারিত থাকবে এবং এর আঙুলগুলো সংযুক্ত অবস্থায় উর্ধমুখী প্রসারিত থাকবে।
৭. এবার প্রসারিত বাম বাহুর উপর দিয়ে সোজা সামনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে হবে। ডান হাঁটু ভাঁজ করে একটু নিচু হতে হবে।
৮. এই অবস্থায় ১০ সেকেণ্ড অবস্থান করে, পুনরায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এরপর পা পাক্টিয়ে বিপরীতক্রমে আসনটি করতে হবে। এই অবস্থায় ১০ সেকেণ্ড থেকে২০ সেকেণ্ড
শবাসনে বিশ্রাম নিতে হবে। এরপর আসনটি আরও দুই বার করতে হবে।

উপকারিতা   
১. হাত, পা, মেরুদণ্ড সবল ও সতেজ হবে।
২. উরু, পেট, পিঠের মাংশীপেশী সবল হবে।
৩. পেট, উরু ও নিতম্বের চর্বি কমে যাবে।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য ও অজীর্ণের উপশম হবে।


সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক