ত্রিকোণাসন
(উত্থিত ত্রিকোণাসন)
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত
আসন বিশেষ।
এটি কোণাসনের একটি
প্রকরণ।
জ্যামিতিতে
তিনটি বাহু দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্র যখন ত্রিভূজ তৈরি করে, তখন তিনটি কোণের সৃষ্টি
হয়। দেহ ভঙ্গিমার দ্বারা ত্রিকোণ সৃষ্টি হয় বলে এর নাম রাখা হয়েছে, ত্রিকোণাসন (
ত্রিকোণ + আসন)। কেউ কেউ একে উত্থিত ত্রিকোণাসন নামেও অভিহিত করে থাকেন।
পদ্ধতি
১. দুই পা ফাঁক করে সোজা হয়ে এমন ভাবে দাঁড়ান, যেন দুই পায়ের মাঝখানে ২-৩ ফুট
পরিমিত জায়গা থাকে।
২. এবার শরীরের ভার দুই পায়ের পাতার উপর সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। এবার দুই হাতকে শরীরে
দুই পাশে সোজাভাবে প্রসারিত করুন। এই সময় হাতের আঙুলগুলো প্রসারিত থাকবে।
৩. এবার ডান পায়ের পাতা ৯০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে দিন। বাঁ পাকে সোজা রেখে সামান্য ঘোরান।
৪. এবার নিশ্বাস নিতে নিতে কোমর থেকে শরীরকে ডান পাশ বরাবর ভেঙে সোজা অনুভূমিক
ভঙ্গিমায় আনুন। এবার ডান হাতকে পায়ের পাশ দিয়ে ভূমিতে রাখুন। এই হাতের তালু ভূমির
উপর ছড়িয়ে দিন এবং অপর হাতটি সোজা আকাশের দিকে তুলে দিন। উল্লেখ্য উপরে হাতের
প্রতিটি আঙুল আকাশের দিকে প্রসারিত থাকবে।
৫. এবার আপনার মুখকে আকাশের দিকে তুলে ধরুন। উপরের দিকে উঠানো হাতের বুড়ো আঙুলে
দৃষ্টিকে সংযত করুন। এবার স্বাভাবিক শ্বাস নিতে নিতে ৩০ সেকেণ্ড স্থির থাকুন।
৬. ৩০ সেকেণ্ড শেষে, মুখ নিম্নমুখী করুন, নিচের হাতের ভর থেকে শরীর মুক্ত করে,
শরীরের উপরের অংশ তুলে আনুন। এবার ধীরে ধীরে দুই পা একত্রিত করে দাঁড়ান এবং ৩০
সেকেণ্ড বিশ্রাম নিন।
৭. এবার পুনরায় বাম দিকে আসনটি একবার করুন।
৮. এবার ৩০ সেকেণ্ড
শবাসনে
বিশ্রাম নিন।
৯. এইভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি আরও দুই বার করে
শবাসনে
বিশ্রাম নিন।
উপকারিতা
১. উরু, হাঁটু, ও গোড়ালী সবল ও সুস্থ থাকে।
২. নিতম্ব, হ্যামস্টি্রং, বক্ষের পেশী সবল হয়।
৩. উদরের পেশী ও অন্ত্রীয় অংশের ব্যায়াম হয়।
৪. গলা ও পিঠের ব্যাথা দূরীভূত হয়।
৫. মেরুদণ্ড নমনীয় ও সবল হবে।
সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক