কোণাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত
আসন বিশেষ।
কোণ হলো জ্যামিতির
একটি উপকরণের সংজ্ঞাবাচক নাম। জ্যামিতির সূত্রে বলা হয়―
দুইটি রশ্মি বা রেখা কোনো প্রান্তবিন্দুতে মিলিত হয়ে একটি কোণ উৎপন্ন করে।
শরীরের ভঙ্গিমার দ্বারা এরূপ
কোণ সৃষ্টি করলেই কোণাসন (কোণ + আসন) হয়।
দেহভঙ্গিমার বৈচিত্র্য অনুসারে বিভিন্ন রকমের কোণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। সেই কারণে
কোণাসনও বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আর একই কারণে যোগশাস্ত্রে শুধু 'কোণাসন' নামটি
খুঁজে পাওয়া যায় না। কোণাসন শব্দটি পাওয়া যায় বিভিন্ন আসনের সাথে যুক্তাবস্থায়। এই
আসনগুলো হলো―
উত্থিত ত্রিকোণাসন
(ত্রিকোণাসন),
উদ্ধত
উপবিষ্ট-কোণাসন,
উপবিষ্ট-কোণাসন,
উর্ধ্ব একপদ বদ্ধ
পরিবৃত্ত পার্শ্ব কোণাসন,
একপদ
বদ্ধ পরিবৃত্ত পার্শ্ব
কোণাসন,
নিরাবলম্ব
কোণাসন
ও
পরিবৃত্ত পার্শ্বকোণাসন,
বদ্ধ কোণাসন,
বদ্ধ পরিবৃত্ত-কোণাসন,
সমকোণাসন,
সলম্বা উপবিষ্ট কোণাসন,
সলম্বা সুপ্তবদ্ধকোণাসন,
সুপ্তকোণাসন,
সুপ্তবদ্ধ কোণাসন।
সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক