মানুষের জাতিসত্তা

দেখুন : মানুষের প্রজাতিগত ক্রমবিবর্তন | মানুষের অভিপ্রয়াণ |

আধুনিক মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো
Homo sapiens (হোমো স্যাপিয়েন্স)ধারণা করা হয় প্রায় ২ লক্ষ বৎসর আগে প্রাইমেট বর্গের অন্তর্গত হোমিনিডি গোত্রের হোমো (Homo) গণের অন্তর্গত Homo sapiens এর আবির্ভাব ঘটেছিল আফ্রিকার ইথিওপিয়া অঞ্চলে। আর ১ লক্ষ ৬০ হাজার বৎসর আগে মূল প্রজাতি থেকে একটি উপ-প্রজাতি পৃথকভাবে বিকশিত হয়। এই প্রজাতিটি হলো Homo sapiens idaltu। আধুনিক মানুষ বলতে মূল প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়-  Homo sapiens sapiens উপ-প্রজাতি হিসেবে।

 

১ লক্ষ ২৫ হাজার বৎসর আগে এরা আফ্রিকা থেকে বের হয়ে ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়া শুরু করে। এই সময় ইউরেশিয়া জুড়ে বাস করতো হোমো নিয়ানডার্থালেনসিস এবং অন্যান্য প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী। তবে এদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল হোমো নিয়ানডার্থালেনসিস বুদ্ধিমত্তার বিচারে এরা আধুনিক মানুষদের কাছাকাছি ছিল। এদের সাথে সংঘর্ষের মূল কারণ ছিল খাদ্য ও বাসস্থান। হোমো স্যাপিয়েন্সদের বুদ্ধি ও শক্তির কাছে নিয়ানডার্থালরা পরাজিত হতে থাকে এবং  ২৫ হাজার বৎসর পর্যন্ত পশ্চিম ইউরোপ ও মধ্য-এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে টিকে ছিল। এরা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বংশগতির বিচারে মানুষের অভ্যন্তরীণ গঠন ঠিক থাকলেও দৈহিকভাবে মানুষের দৈহিক পরিবর্তন ঘটেছিল অনেক আগে। কালক্রমে কিছু কিছু গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষের তা সাধারণ বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। দৈহিক গড়ন বা বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দিয়ে, নৃবিজ্ঞানীরা মানুষকে তিনটি মহাজাতি সত্তায় বিভাজিত করেছেন। এই প্রধান তিনটি শ্রেণিকে আরও কয়েকটি উপভাগে ভাগ করা হয়েছে। নিচে এই ভাগগুলো তুলে ধরা হলো।

 

মানুষের মহাজাতি সত্তা ও তার বিভাজন

মহাজাতির বাইরে আরও দুটি জাতি রয়েছে, এদেরকে যথার্থভাবে কোনো মহাজাতির অন্তর্ভুক্ত করা যায় নি। এই জাতি দুটি হলো ভারতের দ্রাবিড় এবং শ্রীলঙ্কার সিংহলীয় জাতি।