পত্রফলক
ইংরেজি
lamina।
ভাস্কুলার
উদ্ভিদের একটি অন্যতম অঙ্গ হলো পাতা।
একটি
আদর্শ পাতার তিনটি অংশ থাকে। এই তিনটি অংশ হলো পত্রমূল
(base),
পত্রবৃন্ত (petiole)
ও পত্রফলক
(lamina)।
কোনো পাতার পত্রমূলের সাথে ক্ষুদ্রাকার পাতা দেখা যায়।
পত্রমূল আর পত্রবৃন্ত হলো পাতার ধারক এবং বাহক। পত্রফলককেই মূলত
পাতা বলা হয়। পত্রমূল আর পত্রবৃন্ত হলো পাতার ধারক এবং বাহক।
পত্রফলকের মধ্যভাগ
জুড়ে দীর্ঘ এবং স্থূল যে শিরা দেখা যায়, তাকে মধ্যশিরা
(midrib)
বলা হয়। এই মধ্যশিরা থেকে
শাখা শিরা, উপশিরা ইত্যাদি মিলে শিরার জালিকা তৈরি করে। এই জালিকার ভিতরে থাকে,
সালোকসংশ্লষণ বা অন্যান্য কাজের উপযোগী নানা ধরনের উপাদান।
পত্রফলকে শিরাগুলো কিভাবে বিন্যস্ত থাকে, তার বিচারে পাতার শিরাবন্যাস (venation) নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে উদ্ভিদের পাতার শিরাবন্যাসকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো জালিকার (reticulate) ও সমান্তরাল (parallel)।
জালিকার শিরাবন্যাস
(reticulate
venation)
মধ্যশিরা থেকে
উপশিরা বের হয়ে পত্রফলকের সীমানা বরাবর বিন্যস্ত থাকে এবং এই উপশিরাগুলো থেকে
অসংখ্য শাখা পত্রফলকে জালিকা তৈরি করে। পাতা বিশেষে মধ্যশিরা এক বা একাধিক
থাকতে পারে। এই বিচারে জালিকারা শিরাবন্যাসকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটি
হলো—
|
|
একশিরাল জালিকার শিরাবিন্যাস |
বহুশিরাল
জালিকার |
|
|
একশিরাল সমান্তরাল শিরাবিন্যাস |
বহশিরাল
সমান্তরাল |
পত্রফলকের আকারগত
প্রকৃতিত বিচারে পাতা
পত্রফলকের
শিরাবিন্যাসের
-এর প্রকৃতি ছাড়াও বাহ্যিকভাবে কেমন দেখা যায়, তার উপর
ভিত্তি পাতার প্রকৃতি নির্ধারিত হয়। প্রাথমিকভাবে পত্রফলকের প্রকৃতিকে দুটি ভাগে
ভাগ করা হয়।
দেখুন:
পত্রফলকের আকারগত
প্রকৃতির বিচারে পাতা
সূত্র :