রাজ্য:
Animalia |
বাইসন
বানান
বিশ্লেষণ :
ব্+আ+ই+স্+অ+ন্+অ।
উচ্চারণ:
bai.son
(বাই.সন্)
শব্দ-উৎস:
প্রাচীন জার্মান
wisunt>আধুনিক
জার্মান
Wisent
[ˈviːzɛnt]>প্রাচীন
ইংরেজি
wesend,
weosend>ল্যাটিন
bisōn>
১৬০০
খ্রিষ্টাব্দের
দিকে ইংরেজি
ভাষায় গৃহীত হয়
Bison>বাংলা
বাইসন।
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {বোভিড
|
রোমন্থক
|
সম-সংখ্যক খুরযুক্ত স্তন্যপায়ী
|
খুরযুক্ত স্তন্যপায়ী
|
অমরাযুক্ত
স্তন্যপায়ী |
স্তন্যপায়ী
|
মেরুদণ্ডী
|
কর্ডেট |
প্রাণী |
জীবসত্তা |
জীবন্তবস্তু |
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক সত্তা |
সত্তা | }
আমেরিকান বাইসনের প্রজাতিগত নাম : Bison bison |
ইউরোপীয় বাইসন Bison bonasus |
অর্থ: প্রাণিবিজ্ঞানের পারিভাষিক শব্দ শব্দের বিবেচনায় গণ বিশেষ। ১৮২৭ খ্রিষ্টাব্দে হ্যামিলটন স্মিথ এই গণের নামনকরণ করে। হ্যামিলটন এই নামটি গ্রহণ করেছিলেন ইউরোপ ও আমেরিকার বাইসন নামে পরিচিত প্রাণীর নামানুসারে। বাইসন নামটি ইউরোপের বিভিন্ন ভাষায় বহু আগে থেকেই ছিল। স্পেনের সানতানদার অঞ্চলের আলতামিরা গুহার ছাদে অঙ্কিত ফ্রেস্কো ধরনের গুহাচিত্রে বাইসনের ছবি পাওয়া যায়। আলতামিরা গুহাচিত্র-এর শিল্পীরা যখন বাইসনের ছবি এঁকেছিলেন, ধারণা করা হয় সে সময়ে ইউরোপে বাইসন ছিল। ধারণা করা হয়, ফ্রান্সের নিম্নাঞ্চল থেকে রাশিয়ার ভোলগা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল এবং ককেশাস পর্বতমালার পাদদেশে বাইসনের বিচরণভূমি ছিল। এদের কিছু কিছু উপ- প্রজাতি মধ্য এশিয়ার তৃণভূমিতে বিচরণ করতো। ইউরোপে জননসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাইসনের চারণভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে, একই সাথে মাংসের জন্য ব্যাপকভাবে বাইসন হত্যা করা হয়েছে। মানুষ ছাড়াও এদের শত্রু ছিল ধূসর নেকড়ে, বাদামি ভালুক, কয়েট, গ্রিজলি ভালুক। কোনো কোনো অঞ্চলে সিংহ, বাঘও এদের শত্রু ছিল। এই সকল কারণে কালক্রমে মধ্য এশিয়া থেকে বাইসন বিলুপ্ত হয়ে যায়। ইউরোপে এই প্রাণীটির প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রচেষ্টায় ককেশাস অঞ্চলে ইউরোপীয় বাইসন সংরক্ষণের জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়।
বাইসন মূলত বোভিড গোত্রের তৃণভোজী, বিশালদেহী এবং শক্তিশালী স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের দৈহিক প্রকৃতি মহিষের মতো। এদের ঘাড়ে বিশাল কুঁজ থাকে। ঘাড়ে রয়েছে দীর্ঘ লোমশ কেশর। বিশাল মাথা কিন্তু তুলনামূলকভবে শিং খাটো। একসময় মধ্য এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাতে অন্তত ৭টি প্রজাতির প্রচুর বাইসন দেখা যেতো। বর্তমানে আমেরিকান বাইসন এবং ইউরোপীয় বাইসনের দুটি প্রজাতি পাওয়া যায়। আমেরিকান বাইসনের প্রজাতিগত নাম : Bison bison। পক্ষান্তরে ইউরোপীয় বাইসনের প্রজাতিগত নাম Bison bonasus। আমেরিকান বাইসন পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকার পর্বতাঞ্চলে। ইউরোপের ককেশাস অঞ্চলের বন্য পরিবেশে সংরক্ষিত একটি প্রজাতি। ইউরোপীয় বাইসনের এই প্রজাতিটি ইউরোপের সাধারণ বন্য পরিবেশে পাওয়া যায় না।
বাইসনের বিলুপ্ত প্রজাতিগুলো হলো− B. antiquus, B. latifrons, B. occidentalis, B. palaeosinensis ও B. priscus। ইউরোপীয় বাইসনের কয়েকটি উপপ্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো হলো− Bison bonasus bonasus (Linnaeus, 1758), Bison bonasus hungarorum, Bison bonasus caucasicus।