মঙ্গ্কে খান
(১২০৯-১২৫৯ খ্রিষ্টাব্দ)
মোঙ্গল সাম্রাজ্যের শাসক। পিতার নাম
তোলুই খান এবং
মায়ের নাম সোর্ঘাঘতানি বেকি ।
১২০৯ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে তিনি
চেঙ্গিশ খানের
সাথে বিভিন্ন সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
১২৩০ খ্রিষ্টাব্দে
ওগেদাই খান এবং তাঁর পিতা
তোলুই খানের
সাথে জিন রাজবংশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মঙ্গ্কে খান প্রথমবারের মতো যুদ্ধে যান।
১২৩২ খ্রিষ্টাব্দের
তোলুই খানের
মৃত্যুর পর,
ওগেদাই খান সম্রাট হন। তিন
মঙ্গ্কে খানকে
সোরঘাঘতানি প্রধান নিযুক্ত হন।
১২৩৫ খ্রিষ্টাব্দে
ওগেদাই খানের
সাথে কিপচালেস, রাশিয়া এবং বুল্গার্স অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এই সময় কিপচ্যাকের
প্রধান ব্যাচম্যান ভোলগা বদ্বীপে পালিয়ে দেন। এই সময় মঙ্গ্কে নদী পার হয়ে
ব্যাচম্যানকে গ্রেফতার করেন। এছাড়া পূর্ব ইউরোপে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। পরে
১২৪০-৪১ খ্রিষ্টাব্দে
ওগেদাই খানের
নির্দেশে ফিরে আসেন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে
ওগেদাই খান
মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর ওগেদাই খানের স্ত্রী
তুরগেন তাঁর পুত্র গুয়ুক খানকে
ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেন এবং ১২৪৬ খ্রিষ্টাব্দ
তাঁকে মোঙ্গল সাম্রাজ্যের শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত করেন।
গুয়ুক খান
১২৪৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর
গুয়ুক খানের
মৃত্যুর পর তাঁর ১২৫১ খ্রিষ্টাব্দ
পর্যন্ত মোঙ্গল সাম্রাজ্যের ক্ষমতাকে সুসংহত করেন এবং ১২৫১
খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গ'কে সম্রাট হন। এই সময় শিরেমুন ও নাখু এতে অসঙ্গুষ্ট হয়ে
মঙ্গ্`কে-কে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনা তিনি কঠোরভাবে দমন করতে সক্ষম হন।
১২৫২ খ্রিষ্টাব্দে
মঙ্গ'কে ককেসাসের নিয়ন্ত্রণ গোল্ডেন হোর্ডের তুলে দেন।
মঙ্গ'কে খানের অনুমোদনক্রমে বাতু খানের ভাই বারকা খান গোল্ডেন হোর্ডের খান হিসেবে ১২৫৫
খ্রিষ্টাব্দে বাতুর উত্তরসূরি হন। এই সময় বারকা খান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাই
১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে
হালাকু খান
যখন বাগদাদ দখল করে ব্যাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, তখন
বারকা খান
হালাকু খানের
উপর
অত্যন্ত রাগান্বিত হন। এর ফলে মোঙ্গলদের মধ্যে গৃহবিবাদের সৃষ্টি হয়। তবে প্রকাশ
ঘটেছিল
মঙ্গ'কে খানের মৃত্যুর পর।
১২৫৯ খ্রিষ্টাব্দের
১১ আগষ্ট মঙ্গ্`কে খান মৃত্যুবরণ করেন।
কিন্তু তিনি কোনো উত্তরসূরী নির্ধারণ না করায়, আরিক বোকে
সিংহাসনের দাবি তোলেন। এই সূত্রে গৃহবিবাদ শুরু হলে,
হালাকু খানের সহায়তায়
তোলুই খানের চতুর্থ
পুত্রসন্তান
কুবলাই খান
মোঙ্গল সাম্রাজ্যের
অধিপতি হন।