'দেখতে দেখতে আবার সেই জন্মাষ্ঠমীর দিন এলো।...গান চলছে। বাজনা চলছে।...ওস্তাদজী এসে আমায় চুপি চুপি জিজ্ঞেস করলেন, 'গাইবে?'...রাজী হয়ে গেলাম।...কিন্তু গাইব কী? চারপাশে যাঁরা বসে আছেন তাঁরা কেউ হেঁজিপেজি নন। গহরজান, আগ্রাওয়ালি মালকা, নূরজাহান,...হুশনা, জানকীবাঈ, মৈজুদ্দিন...ভয়ে ভয়ে ইমন খেয়াল শুরু করলাম গান শেষ হতে শুধু যে বাহবাই পেলাম তা নয়, অনেকে মিলে আরও গাইতে অনুরোধ করলেন।...ঠুমরি শেষ করে ওঠার উদ্যোগ করছি, গহরজানের আদেশে থেকে যেতে হল। তিনি আরও গান শোনাবার ফরমায়েশ করলেন।...ভয়ে আনন্দে আরও দুখানা গান পরপর গাইলাম।'১৯১৬ সালে গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে প্রকাশিত হয় ইন্দুবালার প্রথম রেকর্ড। গান দু'টি ছিল 'আশা ফুরায়ে গেল' ও 'আর মুখে বলে কী হবে'। রেকর্ড নম্বর পি ৪৩০৬। ঘূর্ণ ৭৮ আরপিএম। শুরুর দিকে গান গেয়ে তিনি কোনও অর্থ নিতেন না। তাছাড়া রেকর্ডে নামের পাশে লেখা থাকত অ্যামেচার। এই সময় তিনি বাংলা ও হিন্দি গান ছাড়াও তিনি উর্দু, ওড়িয়া, পঞ্জাবি গান গেয়েছেন প্রচুর।
গান দুটির রেকর্ড নম্বর পি ১১৬৬১। রেকর্ড নম্বরের কালানুক্রম অনুসারে পি ১১৬৩২
রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৩৬) মাসে। এই
বিচারে পি ১১৬৩২ রেকর্ডের গান দুটিকে নজরুলের গান কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
তথ্যসূত্র:
ইন্দুবালা/বাঁধন সেনগুপ্ত। দীপ প্রকাশন
The record news.
2008