উরের রাজকীয় সমাধিক্ষেত্রে পাওয়া শিলালিপিসহ মেসকলমদুগের সিল

মেসকলমদুগ
রাজত্বকাল: ২৫৫০-? অব্দ

প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের প্রাচীন প্রাচীন উর নগরীর-এর প্রথম রাজবংশের তৃতীয় রাজা।  উর -এর দ্বিতীয় রাজা উর-পবিলসাগ -এর পুত্র ছিলেন। ধারণা করা হয়, তাঁর স্ত্রী ছিলেন রানি পুয়বি

আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৫০ অব্দের দিকে, উর-পবিলসাগ -এর মৃত্যুর পর রাজত্ব লাভ করেন। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার ইতিহাসে মেসকলমদুগ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না। তাঁর নামাটি পাওয়া গেছে  উরের রাজকীয় কবরস্থানে পাওয়া একটি রাজকীয় সিলিন্ডারের সিল থেকে।
মারির ল্যাপিস লাজুলি পুঁতি, মেসকালামদুগের ছেলে মেসানেপাদার শিলালিপি সহ। দামেস্কের জাতীয় জাদুঘর , সিরিয়া

এছাড়া পাওয়া গেছে আধুনিক সিরিয়ার একটি প্রাচীন সেমিটিক শহর-রাষ্ট্র মারির রাজকীয় পুঁতির শিলালিপিতে  এবং একটি ল্যাপিস-লাজুলি পুঁতি উপরে। এই পুঁতিতে লেখা আছে-

"দেবতা লুগালকালামের কাছে ("ভূমির প্রভু", দাগান বা এনলিল দ্বারা চিহ্নিত ), মেসানেপাদা , উরের রাজা , মেসকালামদুগের পুত্র, কিশের রাজা , এই পুঁতিটি পবিত্র করেছেন"

উর থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে মারিতে এই পূঁতি কিভাবে এসেছিল তা জানা যায় না। সম্ভত এই সময়ে উর ও মারির ভিতরে বাণিজ্যিক বা সৌহার্দের সম্পর্ক ছিল।

তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র আকলামদুগ রাজত্ব লাভ করেন।

উরের রাজকীয় কবরস্থানে মেসকলমদুগ-এর কবর [সমাধি PG 755] থেকে পাওয়া গেছে- সোনার ছোরা, সোমার বাটি, ফুলদানি, শিরোস্ত্রাণ, স্বর্ণ দণ্ডের উপর উপবিষ্ট সোনার বানর, তামার পাত্র ইত্যাদি।

একটি সোনার ছোরা এবং একটি সোনার ধাতুপট্টাবৃত হাতল সহ একটি ছোরা

মেসকলামডুগের কবর থেকে অ্যালাবাস্টার ফুলদানি এবং হেলমেট।

সোনার বাটি, তার নামের উল্লম্ব শিলালিপি সহ

সোনার বাটি

মেসকালামদুগের সোনার বানর

তামার পাত্র