নন্দী বর্মণ দ্বিতীয়
(রাজত্বকাল ৭৩০-৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দ)
পল্লব রাজবংশ রাজবংশের রাজা।

৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে পরমেশ্বর বর্মণ দ্বিতীয়-এর মৃত্যু হয়। এরপর পল্লব বংশের একটি অন্যতম শাখায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই সময় তাঁর অন্যতম প্রতিপক্ষ ছিলেন পল্লব চিত্রমায়া। রাজ্যের প্রধান নাগরিকদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে নন্দী বর্মণ সিংহাসন লাভ করেছিলেন। চিত্রমায়া রাজ্য লাভের আশায় পাণ্ড্যরাজদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করেন।  চিত্রমায়ার পক্ষ নিয়ে পাণ্ড্যরাজা চালুক্য রাজ্য আক্রমণ করেন। এই যুদ্ধে নন্দী বর্মণ জয় লাভ করেন এবং পল্লব সিংহাসন তাঁর অধিকারেই থেকে যায়।

এরপর চালুক্য রাজা বিক্রমাদিত্য দ্বিতীয় আক্রমণ করেন এবং রাজধানী কাঞ্চী অধিকার করেন। এই সময় নন্দী রাষ্ট্রকূট রাজ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেন। রাজা বিক্রমাদিত্য দ্বিতীয় চিত্রমায়াকে পল্লব সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেন। ৭৪৫ ন্দী বর্মণ দ্বিতীয়-এর সেনাপতি উদয়চন্দ্র চিত্রমায়াকে পরাজিত ও হত্যা করে পল্লব রাজ্যের অংশবিশেষের অধিকার লাভ করেছিলেন

ইতিমধ্যে
রাষ্ট্রকূটরাজা ইন্দ্র অধিকর শক্তিশালী হয়ে উঠলে, চালুক্য রাজা কীর্তিবর্মণ দ্বিতীয় রাষ্ট্রকূট রাজ্যে আক্রমণ করেন। খান্দেশের যুদ্ধে কীর্তিবর্মণ দ্বিতীয় পরাজিত হয়। এর ফলে দন্তি দুর্গ-সহ মহারাষ্ট্রে উত্তর ভাগ ইন্দ্রের অধিকারে চলে যায়। এই সময় পল্লব রাজ্যের নির্বাচিত রাজা দন্তি দুর্গ দখলে ন্দী বর্মণ দ্বিতীয় তাঁকে সাহায্য করেন। এই কারণে ন্দী বর্মণ দ্বিতীয় পল্লব সিংহাসন অধিকারের সময় সাহায্য করেন।

কীর্তিবর্মণ দ্বিতীয়
-এর মৃত্যুর পর চালুক্য শক্তি বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল। কিন্তু সুদূর দক্ষিণে চালুক্য সামন্তদের রাজত্ব ছিল। পল্লব সিংহাসন অধিকারের পর, নন্দী  বর্মণ দক্ষিণে অভিযান চালিয়ে চালুক্যদের রাজ্য দখল করেন। তিনি গঙ্গবংশের রাজা শ্রীপুরুষকে পরাজিত করে গঙ্গরাজ্যের কিছু অংশ দখল করেন।

৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হলে সিংহাসন লাভ করেন তাঁর পুত্র দন্তি বর্মণ।


সূত্র: