প্রেমাঙ্কুর আতর্থী
১৮৯০-১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দ
ব্রাহ্মধর্ম প্রচারক, সাহিত্যিক, বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরে তার জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মহেশচন্দ্র আতর্থী। মহেশচন্দ্র আতর্থী কলকাতায়
বাস করতেন। সেই সূত্রে তাঁর শৈশবকাল শুরু হয়েছিল কলকাতায়। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষালাভ হয়েছিল কলকাতার ব্রাহ্ম বিদ্যালয়ে।
এরপরে তিনি ডাফ স্কুল, কেশব একাডেমী, সিটি স্কুল এবং ব্রাহ্ম বয়েজ বোর্ডিং অ্যান্ড ডে স্কুলে তিনি পড়াশুনা করেন। তবে
উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করা সম্ভব নি। তবে নিজ চেষ্টায় তিনি দেশ-বিদেশের সাহিত্য ও অন্যান্য বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।
উচ্চতর শিক্ষালাভে ব্যর্থ হয়ে তিনি তৎকালীন বোম্বাই নগরে পালিয়ে যান এবং সেখানে ওস্তাদ করমতুল্লাহর কাছে সেতারবাদন শেখেন।
এরপর তিনি কলকাতায় ফিরে এসে কলকাতার চৌরঙ্গীর একটি ক্রীড়া সামগ্রীর দোকানে চাকরি করা শুরু করেন। এখানে কিছুদিন চাকরি করার পর,
তিনি দৈনিক 'হিন্দুসস্তান'পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। এর পাশাপাশি তিনি সান্ধ্যা পত্রিকা 'বৈকালী', কিশোরদের মাসিক পত্রিক 'যাদুঘর',
মাসিক 'জাহ্নবী' পত্রিকার সম্পাদনা করেছিলেন।
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে
আকাশবাণী (কলকাতা) বেতারে পক্ষ থেকে প্রকাশিত 'বেতার জগৎ' নামক পত্রিকা
প্রকাশিত হতে থাকে। এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ২৭
সেপ্টেম্বর। এই পত্রিকার নাম দিয়েছিলেন বেহালার জমিদার বীরেন রায়। এই
পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন প্রেমাঙ্কুর আতর্থী। এই সময় তাঁর সহযোগী ছিলেন
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। ১৯৩০
খ্রিষ্টাব্দে
প্রেমাঙ্কুর আতর্থী বেতার জগতের সম্পাদক পদ ত্যাগ করে
বীরেন্দ্র সরকার
-এর পরিচালিত
নিউ থিয়েটার্স নামক চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে যোগদান
করেন।
১৩৩১
বঙ্গাব্দের ২৬শে বৈশাখ (শুক্রবার ৯ মে ১৯২৪)
হেমেন্দ্রকুমার রায় ও
প্রেমাঙ্কুর আতর্থী-র
যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত
হয়েছিল সাপ্তাহিক 'নাচঘর' পত্রিকা।
এরপর
নিউ থিয়েটার্স
থেকে অনেকগুলো চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর
মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: