বিষয়: নজরুলসঙ্গীত
শিরোনাম: কোন্ সুদূরের চেনা বাঁশির ডাক শুনেছিস্ ওরে চখা?
তাল: দাদরা
কোন্ সুদূরের চেনা বাঁশির ডাক শুনেছিস্ ওরে চখা?
ওরে আমার পলাতকা!
তোর পড়লো মনে কোন্ হানা-ঘর,
স্বপন-পারের কোন্ অলকা?
ওরে আমার পলাতকা॥
তোর জল ভ'রেচে চপল চোখে,
বল কোন্ হারা-মা ডাক্লো তোকে রে
ঐ গগন-সীমায় সাঁঝের ছায়ায়-
হাতছানি দেয় নিবিড় মায়ায়-
উতল পাগল! চিনিস্ কি তুই চিনিস্ ওকে রে?
যেন বুক-ভরা ও' গভীর স্নেহে ডাক দিয়ে যায়,
'আয়,
ওরে আয় আয় আয়,
কোলে আয় রে আমার দুষ্টু খোকা!
ওরে আমার পলাতকা॥'
দখিন হাওয়ায় বনের কাঁপনে-
দুলাল আমার! হাত-ইশারায় মা কি রে তোর
ডাক দিয়েছে আজ?
এতদিনে চিনলি কি রে পর ও আপনে!
নিশিভোরেই তাই কি আমার নামলো ঘরে সাঁঝ?
ধানের শীষে, শ্যামার শিষে-
যাদুমণি! বল্ সে কিসে রে,
তুই শিউরে চেয়ে ছিঁড়্লি বাঁধন!
চোখ ভরা তোর উছলে কাঁদন রে!
তোরে কে পিয়ালো সবুজ স্নেহের কাঁচা বিষে রে!
যেন আচম্কা কোন্ শশক–শিশু চম্কে ডাকে হায়,
'ওরে আয় আয় আয়-
বনে আয় ফিরে আয় বনের সখা।'
ওরে চপল পলাতকা॥
- রচনাকাল:
ছায়ানট কাব্যগ্রন্থে গানটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে -'কলিকাতা/শ্রাবণ, ১৩২৮। কিন্তু
এর আগেই গানটি ভারতী পত্রিকার 'বৈশাখ ১৩২৮' সংখ্যার ৭০ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হয়েছিল। ধারণা করা যায়, ছায়ানট কাব্যগ্রন্থে উল্লিখিত তারিখটি ভুলক্রমে লেখা হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২১ বৎসর ১১ মাস।
- পত্রিকা:
-
ভারতী [বৈশাখ ১৩২৮ (এপ্রিল-মে
১৯২১)। শিরোভাগে রয়েছে- 'মা-মরা খোকার মৃত্যুশয্যায় পিতা গাচ্ছেন। সুর 'বৈকালী মেঠো
বাউল'। পৃষ্ঠা ৭০]
[নমুনা]
-
মোসলেম ভারত [আশ্বিন ১৩২৮ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর
১৯২১)
- গ্রন্থ:
-
ছায়ানট
- প্রথম সংস্করণ [বর্মণ পাবলিশিং হাউস, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৫
আশ্বিন ১৩৩২। শিরোনাম 'পলাতকা। পৃষ্ঠা
২৬-২৭]
- নজরুল রচনাবলী জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, মে ২০১১।
ছায়ানট। পৃষ্ঠা ২৬-২৭]
-
নজরুল গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
বাউল-ভাটিয়ালী। বাউল-দাদরা। পৃষ্ঠা ১০৩-১০৪]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭।] নজরুল গীতিকা। ৮২। বাউল-ভাটিয়ালী। বাউল-দাদরা। পৃষ্ঠা: ২২৯-২৩০]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: বাউল (প্রকৃতি)
- সুরাঙ্গ:
বাউল
- তাল:
দাদরা