রাগ: দুর্গা (বিলাবল ঠাট), তাল:কাহার্বা
নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল
মলিন হয়েছে ঘুমে চোখের কাজল॥
হেরিয়া নিশি-প্রভাতে
শিশির কমল-পাতে
ভাব বুঝি বেদনাতে ফুটেছে কমল॥
এ শুধু শীতের মেঘে
কপট কুয়াশা লেগে'
ছলনা উঠেছে জেগে' এ নহে বাদল॥
কেন কবি খালি খালি
হ'লি রে চোখের বালি
কাঁদাতে গিয়া কাঁদালি নিজেরে কেবল॥
নজরুলের জীবদ্দশায় তাঁর গানের যে সুর-বিকৃতি চলছিল, তাতে তিনি অত্যন্ত
ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের
২৩ আগষ্ট (শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৩৩৬) নবশক্তি' পত্রিকায়
প্রকাশিত চিঠিতে তিনি এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছলেন। এই চিঠিতে বেতারে প্রচারিত [২৩ আগষ্ট ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দ [নবশক্তি'
পত্রিকায় প্রকাশিত
পত্র]
এই পত্রে এই গানটি প্রসঙ্গে তিনি লিখেছিলেন-
'একদিন শুনলাম কোনো একজন আমার ঠুমরী চালের দুর্গা সুরের “নহে নহে প্রিয় এ নয় আখিজল' গানটিকে ধ্রুপদের ইমন সুরে গাইছেন এবং তা শুনে আমার গানের আঁখিজল আমার চোখে দেখা দিল। অবশ্য অনুরাগে নয়, রাগে এবং দুঃখে। ভাগ্যিস গান এবং গাইয়ে দুই-ই ছিল নাগালের বাইরে, নইলে সেদিন ভালো করেই সুরাসুরের যুদ্ধ বেধে যেত।'