রাগ: ছায়ানট, তাল: ত্রিতাল
রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে পায়েলা বাজে
নওল কিশোরী ধায় অভিসারে ভবন তেয়াগি’ বন-মাঝে॥
বারণ করে তায়
লতিকা ধরি’ পায়
ভাব-বিলাসিনী না মানে গুরুজন-ভয় লাজে॥
আবেশ বিহ্বল এলোমেলো কুন্তল ছায়া-নটিনী চলে
মধুকর গুঞ্জে মাধবী কুঞ্জে কুসুম দীপালি জ্বলে।
সে রূপ হেরি’ হায়
মুরলী থামিয়া যায়
পথ-ভোলা শশী কাননে এলো যেন রাধা-সাজে॥
ঝনন ঝনন ঝনন ননন ঝননন বাজে বিছুয়া বাজে।
পিয়াকে মিলনকো চলী জাত অপনে মন্দরসোঁ বাজে॥
পূজা করনকো নিকসী ঘরসোঁ হো
অলবেলী নার চমকে ‘ইনায়ৎ’ বার বার॥
এ গানটির প্রথম রেকর্ড করেছিলেন আগ্রা ঘরানার ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ। মূল গানটি দুই তুকের। এতে রয়েছে শুধু স্থায়ী ও একটি অন্তরা। নজরুলের গানে রয়েছে চার তুক।