রাগ: ভৈরবী। তাল: ত্রিতাল
স্বপনে এসেছিল মৃদু-ভাষিণী মৃদু-ভাষিণী মধু-হাসিনী। রূপের তৃষা মোর রূপ ধ'রে এসেছিল কল্পনা-মনোবন-বাসিনী॥ যে পরম সুন্দর আছে মোর অন্তরে তারি অভিসারে আসে উদাসিনী॥
ভাবসন্ধান: জাগরণের অতৃপ্ত যে আকাঙ্ক্ষা কিম্বা ভাবনা, তা কখনো কখনো
মনলোকের অবচেতন দশায় গভীরভাবে স্থান করে নেয়, তাই কখনো কখনো চিত্রময় হয়ে উঠে
স্বপ্নের মায়ালোকে। জাগরণের পরম সৌন্দর্যের তৃষ্ণা ছিল কবির অবচেতন মানসলোকে।
কবির সেই তৃষ্ণাই মায়াময়ী হয়ে মৃদুভাষিণী, মধু-হাসিনী রূপে স্বপ্নের মধুর আবেশে
এসেছিল। এই তৃষ্ণার কবির কল্পলোকের, তাই কবি তাকে আখ্যায়িত করেছেন- কল্পনা-মনোবন-বাসিনী।
কবি মনে করেন যে পরম সুন্দর ও সত্য তাঁর মনোলোকে আসীন, সেই মানসপ্রিয়া হয়ে আসে
উদাসিনীর বেশে আসে। এই সর্বাঙ্গসুন্দুরী সাথে কবির বিহার, যেন নিজের সাথে নিজের
বিহার। তবু এর ভিতর দিয়ে কবি খুঁজে পান নিজের পরম সত্য ও পরম সৌন্দর্যকে।
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর ১৯৪০ (অগ্রহায়ণ-পৌষ
১৩৪৭) এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে।
এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৬ মাস।
গ্রন্থ:
অগ্রন্থিত গান নজরুল-রচনাবলী─একাদশ খণ্ড [নজরুল জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। বাংলা একাডেমী, ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৪১৭। ২৫শে মে ২০১০। ৫৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ২৪]
নজরুল গীতি, অখণ্ড
প্রথম সংস্করণ [আব্দুল আজীজ আল-আমান সম্পাদিত। হরফ প্রকাশনী। ৬ আশ্বিন ১৩৮৫। ২৩ সেপ্টেম্বর
১৯৭৮]
দ্বিতীয় সংস্করণ [আব্দুল আজীজ আল-আমান সম্পাদিত। হরফ প্রকাশনী। ১ শ্রাবণ ১৩৮৮। ১৭ জুলাই
১৯৮১]
তৃতীয় সংস্করণ [ব্রহ্মমোহন ঠাকুর সম্পাদিত। হরফ প্রকাশনী। ৮ মাঘ ১৪১০। ২৩ জানুয়ারি ২০০৪। রাগ-প্রধান গান। ৯৬৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা
২৪০]