বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত
তোমার বাণীরে করিনি
গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত।
মোরা ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমারি দেখানো পথ॥
বিলাস-বিভব দলিয়াছ
পায় ধূলি সম তুমি, প্রভু,
তুমি চাহ নাই আমরা
হইব বাদশা-নবাব কভু।
এই ধরণীর ধন-সম্ভার
—
সকলেরি তাহে সম অধিকার;
তুমি বলেছিলে ধরণীতে
সবে সমান পুত্র-বৎ॥
প্রভু তোমার ধর্মে অবিশ্বাসীরে তুমি
ঘৃণা নাহি ক'রে
আপনি তাদের করিয়াছ
সেবা ঠাঁই দিয়ে নিজ ঘরে।
ভিন্ ধর্মীর
পূজা-মন্দির, ভাঙিতে আদেশ দাওনি, হে বীর,
প্রভু আমরা আজিকে সহ্য করিতে পারিনে'ক পর-মত॥
তুমি চাহ নাই
ধর্মের নামে গ্লানিকর হানাহানি,
তলোয়ার তুমি দাও নাই
হাতে, দিয়াছ অমর বাণী।
মোরা ভুলে গিয়ে তব
উদারতা
সার করিয়াছি
ধর্মান্ধতা,
বেহেশ্ত্ হ'তে ঝরে
নাকো আর তাই তব রহমত॥
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। বুলবুল
পত্রিকার ভাদ্র-অগ্রহায়ণ
১৩৪০ (আগষ্ট-ডিসেম্বর ১৯৩৩) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই
সময়
নজরুল ইসলামের
বয়স ৩৪ বৎসর ছিল ৩ মাস।
- গ্রন্থ:
- ঝড়
- প্রথম সংস্করণ [১৩৬৭ বঙ্গাব্দের ১ অগ্রহায়ণে (১৭ নভেম্বর ১৯৬০)। শিরোনাম:
ক্ষমা করো হজরত।]
- নজরুল রচনাবলী ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। শেষ
সওগাত। শিরোনাম:
ক্ষমা করো হজরত। পৃষ্ঠা ১৪২]
- নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট।
তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ৬৬৮।
তাল-দাদরা। পৃষ্ঠা ২০৩]
পত্রিকা: বুলবুল [ভাদ্র-অগ্রহায়ণ
১৩৪০ (আগষ্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৩৩)]
রেকর্ড: এইচএমভি [ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪, মাঘ-ফাল্গুন ১৯২৭) ১৩৪৯]। এন
৭২০২। শিল্পী: গণি মিঞা (ধীরেন্দ্রনাথ দাস)।
এর জুড়ি গান -
- মেষ চারণে যায় নবী কিশোর রাখাল [তথ্য]
স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ড. রশিদুন্ নবী। নজরুল -সংগীত স্বরলিপি। নজরুল
ইন্সটিটিউট। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩/জুন ২০১৬। গান সংখ্যা ৪। পৃষ্ঠা: ৩১-৩৬
[নমুনা]
পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (ইসলামী)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গান
- তাল: দাদরা
- গ্রহস্বর: পা