বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া

নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া
বালিকা-কুঁড়ির মালিকা গাঁথিয়া
আমি একেলা জাগি রজনী
বঁধু, এলো না তো কই সজনী,
বিজনে বসিয়া রচিলাম বৃথা
বনফুল দিয়া ব্যজনী।
কৃষ্ণচূড়ার কলিকা অফুট
আমি তুলি আনি' বৃথা রচিনু মুকুট,
মোর হৃদয়ের রাজা এলো না,
আমার হৃদি-সিংহাসন শূন্য রহিল
আমি যাহার লাগিয়া বাসর সাজাই
সে ভাবে মিছে এ খেলনা (সখি)।
সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে সখি,
আমি মরণের তীরে ব'সে তা'রে ডাকি
হেসে যায় বঁধু আন্‌ঘরে
সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে।
সে-যে পাষাণের মূরতি বৃথা পূজা-আরতি
         নিবেদন করি তার পায়:
সাধে কি গো বলে সবে পাষাণ গলেছে কবে?
        তবু মন পাষাণেই ধায় (সখি রে)।
আমি এবার মরিয়া পুরুষ হইব, বঁধু হবে কুলবালা
দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা,
বিরহিনীর কী যে জ্বালা তখনি বুঝিবে কালা।
দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা॥