বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী
আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী,
চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ উঠিছে গুঞ্জরি (আহা)
॥
দুলে আলোছায়া বন-দুকূল
ওড়ে প্রজাপতি কল্কা ফুল
কর্ণে অতসী
স্বর্ণ-দুল্
আলোক-লতার সাতনরী॥
সোনার গোধূলি নামিয়া আয়
আমার রূপালি ফুল-শোভায়
আমার সজল আঁখি-পাতায়
আয় রামধনু রঙ
ধরি'।
কবি, তোর ফুলমালী কেমন
ফাগুনে শুষ্ক পুষ্প-বন
বরিবি বঁধুরে এলে
চ্যমন
(আহা)
রিক্ত হাতে কি ফুল
ভরি'॥
-
রচনাকাল ও স্থান:
সওগাত পত্রিকার 'পৌষ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়
গানটির রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'কৃষ্ণনগর, ২৮ অগ্রহায়ণ ৩৩'
[মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ১৯২৬। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৭ বৎসর ৬ মাস।
গানটির পাদটীকায় উল্লেখ ছিল- 'বিখ্যাত উর্দু গজল '
'কিস্কে খেরামে নাজ্নে কবর্মে দিল্ হিলা দিয়া'।
উল্লেখ্য, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণে মিশরের নৃত্যশিল্পী মিস্ ফরিদা কলকাতার আলফ্রেড রঙ্গমঞ্চে
নৃত্য
পরিবেশন করতে এসেছিলেন। সেই নৃত্যানুষ্ঠান নজরুল দেখেছিলেন। উর্দু গজল "কিসকি
খায়রো ম্যাঁয় না জানি, মেঁ দিল হিলা দিয়া" সহযোগে উর্বশী ফরিদার লীলায়িত
ভঙ্গিমার নাচ কবির মনে উদ্দি্পনার সঞ্চার করেছিল। তিনি এই গজল গানের
অনুপ্রেরণায় ও সুরের কাঠামোয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের ২৮ অগ্রহায়ণ কৃষ্ণনগরে লিখলেন এই
বাংলা গজলটি।
-
গ্রন্থ:
- বুলবুল
- প্রথম সংস্করণ [কার্তিক ১৩৩৫ (নভেম্বর ১৯২৮) গান ১০।
ভীমপলশ্রী-দাদরা]
- নজরুল-রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ
সংস্করণ। দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
বুলবুল। গান ১০।
ভীমপলশ্রী-দাদরা। পৃষ্ঠা: ১৫৯।
- পত্রিকা:
সওগাত।
পৌষ, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ (ডিসেম্বর ১৯২৬-জানুয়ারি ১৯২৭) সংখ্যা।
- নাটক:
রক্তকমল ।
নাট্যকার
শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত।
মঞ্চ:
মনোমোহন থিয়েটার। উদ্বোধন─২ জুন, ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দ। চরিত্র: কমল। শিল্পী: শেফালিকা।
- রেকর্ড:
মেগাফোন। ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ (মাঘ-ফাল্গুন) জেএনজি ৪৫। শিল্পী: আব্বাস উদ্দিন
[নমুনা]
-
স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন
দাশ।
[নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি,
পঞ্চম খণ্ড। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট,
ঢাকা] চতুর্থ গান। পৃষ্ঠা: ৪৭-৫০।
[নমুনা]
- পর্যায়: