'আলোচনা নাম দিয়া, যে ছোটো ছোটো গদ্য প্রবন্ধ বাহির করিয়াছিলাম তাহার গোড়ার দিকেই প্রকৃতির প্রতিশোধের ভিতরকার ভাবটির একটি তত্ত্ববব্যাখ্যা লিখিতে চেষ্টা করিয়াছিলাম। সীমা যে সীমাবদ্ধ নহে, তাহা যে অতলম্পর্শ গভীরতাকে এক কণার মধ্যে সংহত করিয়া দেখাইতেছে ইহা লইয়া আলোচনা করা হইয়াছে। তত্ত্বহিসাবে সে ব্যাখ্যার কোনো মুল্য আছে কি না, এবং কাব্যহিসাবে 'প্রকৃতির প্রতিশোধ'এর স্থান কী তাহা জানি না, কিন্তু আজ স্পষ্ট দেখা যাইতেছে
এই একটিমাত্র আইডিয়া অলক্ষ্যভাবে নানা বেশে আজ পর্যস্ত আমার সমস্ত রচনাকে অধিকার করিয়া আসিয়াছে।'
বঙ্গভাষার লেখক (১৯১১)
গ্রন্থে 'প্রকৃতির প্রতিশোধ; সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন-
আমি বালকবয়সে
প্রকৃতির প্রতিশোধ লিখিয়াছিলাম... তাহাতে এই কথা ছিল যে, এই বিশ্বকে গ্রহণ
করিয়া, এই সংসারকে বিশ্বাস করিয়া, এই প্রত্যক্ষকে শ্রদ্ধা করিয়া আমরা
যথার্থভাবে অনন্তকে উপলব্ধি করিতে পারি। যে জাহাজে অনন্তকোটি লোক যাত্রা করিয়া
বাহির হইয়াছে, তাহা হইতে লাফ দিয়া পড়িয়া সাঁতারের জোরে সমুদ্র পার হইবার
চেষ্টা সফল হইবার নহে।'
এই গ্রন্থে ৬টি গান
অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গানগুলো হলো-