হ্যাদে গো নন্দরানী,আমাদের শ্যামকে ছেড়ে দাও
বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: হ্যাদে গো নন্দরানী, আমাদের শ্যামকে ছেড়ে দাও
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: বিচিত্র : ৮৮
হ্যাদে গো
নন্দরানী,
আমাদের শ্যামকে ছেড়ে দাও।
আমরা
রাখল-বালক দাঁড়িয়ে দ্বারে।
আমাদের শ্যামকে দিয়ে যাও
॥
হেরে গো
প্রভাত হল,
সুয্যি ওঠে,
ফুল ফুটেছে বনে।
আমরা শ্যামকে
নিয়ে গোষ্ঠে যাব আজ করেছি মনে।
ওগো,
পীত ধড়া পরিয়ে তারে কোলে নিয়ে আয়।
তার হাতে
দিয়ো মোহন রেণু,
নূপুর দিয়ো পায়॥
রোদের বেলায়
গাছের তলায় নাচব মোরা সবাই মিলে।
বাজবে নূপুর
রুনুঝুনু,
বাজবে বাঁশি মধুর বোলে।
বনফুলে গাঁথব
মালা,
পরিয়ে দেব’ শ্যামের গলে॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাওয়া যায়নি।
-
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: 'প্রকৃতির
প্রতিশোধ' কাব্যনাট্যের 'সূচনা' অংশে এই গানটি রচনার প্রেক্ষাপট সমর্কে
লিখেছেন- '...তখন আমার বয়স তেইশ কিংবা চব্বিশ হবে, কারোয়ার থেকে জাহাজে আসতে
আসতে হঠাৎ যে গান সমুদ্রের উপর প্রভাতসূর্যালোকে সম্পূর্ণ হয়ে দেখা দিল তাকে
নাটকীয় বলা যতেতে পারে, অর্থাৎ সে আত্মগত নয়, সে কল্পনায় রূপায়িত। 'হেদে গো
নন্দরানী' গানটি একটি ছবি, যার রস নট্যারস'। রাখাল বালকেরা নন্দরানীর কাছে
এসেছে আবদার করতে, তারা শ্যামকে নিয়ে গোষ্ঠে যাবে এই তাদের পণ। এই গানটি
প্রকৃতির প্রতিশোধে ভুক্ত করেছি।'
রবীন্দ্রনাথ জীবনস্মৃতিতে এ বিষয়ে লিখেছেন- 'কারোয়া হইতে ফিরবার সময় জাহাজে
প্রকৃতির প্রতিশোধ-এর কয়েকটি গান লিখিয়াছিলাম। বড়ো একটি আনন্দের সঙ্গে
প্রথম গানটি জাহাজের ডেকে বসিয়া সুর দিয়া-দিয়া গাহিত গাহিতে রচনা
করিয়াছিলাম।'
উল্লেখ্য. ১৮৮৩
সালের মে-জুন মাসে কারোয়ার থেকে ফেরবার পথে জাহাজে
রবীন্দ্রনাথ গানটি রচনা করেছিলেন। " বড়ো আনন্দের সঙ্গে প্রথম
গানটি জাহাজের ডেকে বসিয়া সুর দিয়া গাহিতে গাহিতে রচনা করিয়াছিলাম-
হ্যাদে
গো নন্দরানী" ।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২২ বৎসর ১ মাস।
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
প্রকতির প্রতিশোধ। দ্বিতীয়
দৃশ্যকৃষকদের গান। পৃষ্ঠা: ৯৩-৯৪]
[নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- গান
-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা
[আদি-ব্রহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩০০ বঙ্গাব্দ।] গৌড় সারং-যৎ। গান৭৯।
পৃষ্ঠা: ৮৩৮৪[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ।
[বিশ্বভারতী,
আশ্বিন ১৩৩৮, প্রকৃতির প্রতিশোধ (১২৯১ বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:
৩৮] [নমুনা]
- অখণ্ড,
তৃতীয়
সংস্করণ
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২),
পর্যায়:
বিচিত্র ৮৮
পৃষ্ঠা: । [নমুনা]
- গীতিচর্চ্চা
[বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ। গান সংখ্যা ১২৪। পৃষ্ঠা: ১২৪-১২৫] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ ]
- প্রকৃতির প্রতিশোধ
- প্রথম সংস্করণ (বৈশাখ ১২৯১)। দ্বিতীয় দৃশ্য। কৃষকগণের গান । ঝিঁঝিট খাম্বাজ- তাল খেমটা। পৃষ্ঠ ৭।
[নমুনা]
- রবীন্দ্ররচনাবলী প্রথম খণ্ড, বিশ্বভারতী, জ্যৈষ্ঠ ১৩৯৬।
প্রকৃতির প্রতিশোধ। দ্বিতীয় দৃশ্য। কৃষকের গান। পৃষ্ঠা : ১৬৭]
-
রবিচ্ছায়া (সাধারণ
ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২ বঙ্গাব্দ)। বিবিধ ৯১। মিশ্র ভৈরবী-খেমটা। পৃষ্ঠা: ৭৫।
[নমুনা]।
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১)। গান সংখ্যা ৭৮।
মিশ্র ভৈরবী-একতাল। পৃষ্ঠা: ৮৯৫
[নমুনা]
-
স্বরবিতান
বিংশ (২০) খণ্ডের
(বিশ্বভারতী,
ফাল্গুন ১৪১১),
গান সংখ্যা: ১৮, মিশ্র ভৈরবী। দাদরা। পৃষ্ঠা
৬৪-৬৬।
[নমুনা]
- গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
- স্বরলিপি:
[নমুনা]
- স্বরলিপিকার: ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী।
- সুর
ও তাল:
-
মিশ্র ভৈরবী। দাদরা।স্বরবিতান
বিংশ (২০)
- রাগ :
ভৈরবী। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬],
পৃষ্ঠা: ৮৫।
- রাগ:
ভৈরবী।
তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা: ১৪৮।
- গ্রহস্বর: ঋ