বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
দুই হৃদয়ের নদী একত্র মিলিল যদি
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
আনুষ্ঠানিক পর্যায়ের
ষষ্ঠ গান।
দুই হৃদয়ের নদী একত্র মিলিল যদি
বলো, দেব, কার পানে আগ্রহে ছুটিয়া যায়॥
সম্মুখে
রয়েছ তার
তুমি
প্রেমপারাবার,
তোমারি অনন্তহৃদে দুটিতে মিলিতে চায়॥
সেই এক
আশা করি দুইজনে মিলিয়াছে,
সেই এক
লক্ষ্য ধরি দুইজনে চলিয়াছে।
পথে বাধা শত শত পাষাণ পর্বত কত,
দুই বলে এক হয়ে ভাঙিয়া ফেলিবে তায়॥
অবশেষে
জীবনের মহাযাত্রা ফুরাইলে
তোমারি
স্নেহের কোলে যেন গো আশ্রয় মিলে,
দুটি হৃদয়ের সুখ দুটি হৃদয়ের দুখ
দুটি হৃদয়ের আশা মিলায় তোমার পায়॥
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়
নি।
- পাঠভেদ: পাঠভেদ আছে।
দুটিতে মিলাতে চায়॥
: সঙ্গীত-প্রকাশিকা
(মাঘ ১৩১২ বঙ্গাব্দ)
দুটিতে মিলিতে চায়
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
১২৮৮
বঙ্গাব্দের ১৫ই শ্রাবণ, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে রাজনারায়ণ বসুর চতুর্থ কন্যা
লীলাবতীর সাথে কৃষ্ণকুমার মিত্রের বিবাহ হয়। এই বিবাহ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই
গানটি-সহ দুটি গান রচনা করেন এবং রাজনারায়ণ বসুর জ্যেষ্ঠ পুত্র যোগীন্দ্রনাথ বসুকে
গানটি পাঠান। সেই সাথে তিনি যোগীন্দ্রনাথ বসুকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিটির কথা ছিল
—
'যোগেনবাবু,
দুটি বিবাহের গান রচনা করিয়া পাঠাই।
পছন্দ হইলে গ্রহণ করিবেন।
আপনার
শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।'
এই চিঠির শেষে তিনি লিখেছিলেন,
'আর একটা উৎসবের গান যদি পারি ত,
কাল পাঠাইতে চেষ্টা করিব।'
[সূত্র: রবিজীবনী, দ্বিতীয় খণ্ড।
প্রশান্তকুমার পাল। আনন্দ, কলিকাতা। মে ২০০৬]
গানটি রচনার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ নেই।
গানটি রচনার প্রেক্ষাপট অনুসারে ধারণা করা হয়, গানটি রবীন্দ্রনাথে
২০ বৎসর বয়সের রচনা।
[রবীন্দ্রনাথের
২০ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকা (ভাদ্র ১২৮৮ বঙ্গাব্দ)
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা (মাঘ ১৩১২ বঙ্গাব্দ)। স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হলেও
স্বরলিপিকারের নাম পাওয়া যায় না।
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান পঞ্চপঞ্চাশত্তম (৫৫)খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে
রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩
মাত্রা ছন্দে 'ঝাঁপতালে'
তালে নিবদ্ধ।
- রাগ : সাহানা। তাল: ঝাঁপতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।] পৃষ্ঠা: ৫৯।
- সাহানা। তাল: ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১০২।]
-
রাগ: সাহানা। তাল: একতাল
-
গ্রহস্বর-মা।
-
লয়-মধ্য।