বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা
পাঠ ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রেম ১২১।
তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা,
এ সমুদ্রে আর কভু হব নাকো পথহারা॥
যেথা আমি যাই নাকো তুমি প্রকাশিত
থাকো,
আকুল নয়নজলে ঢালো গো
কিরণধারা॥
তব মুখ সদা মনে
জাগিতেছে সংগোপনে,
তিলেক অন্তর হলো না
হেরি কূল-কিনারা।
কখনো বিপথে যদি
ভ্রমিতে চাহে এ হৃদি
অমনি ও মুখ হেরি শরমে
সে হয় সারা॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
Ms.N 231
-তে গানটি পাওয়া যায়।
পাঠভেদ:
এই গানটির আদি রূপ পাওয়া যায় মালতী পুঁথি'র
২৬/১৪খ পৃষ্ঠায়। এই গানটি
মালতিপুঁথির শুরুতে 'উপহার' শিরোনামে রয়েছে। পাণ্ডুলিপিতে এই গানের সাথে আরও দুটি
ছত্র রয়েছে। এই ছত্রদুটি হলো-
চরণে দিনু গো
আনি-
এ ভগ্নহৃদয় খানি
চরণ রঞ্জিবে
তব হৃদিশোণিত ধারা।
১১ মাঘ ১২৮৭ বঙ্গাব্দে অনুষ্ঠিত
একপঞ্চাশ সাম্বৎসরিক
মাঘোৎসবে সায়ংকালীন উপাসনায় গীত হয়। এই গানে উল্লিখিত ছত্র দুটি বাদ দেওয়া হয়
এবং একটি নতুন ছত্র যুক্ত হয়। এছাড়া কয়েকটি শব্দ পরিবর্তন করা হয়।
১২৮৮ বঙ্গাব্দে ভগ্নহৃদয় গ্রন্থাকারে প্রকাশিত
হয়। ভগ্নহৃদয়ে অন্তর্ভুক্তির সময় এই গানটির পরিবর্তে পাঁচ স্তবকে বিন্যস্ত ৩০
পংক্তি বিশিষ্ট একটি কবিতা যুক্ত করা হয়েছিল।
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: পত্রিকার 'কার্তিক ১২৮৭' সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথের ৩টি গান প্রকাশিত হয়েছিল। এর ভিতরেএই গানটিও ছিল। অন্য দুটি গানের মতই এই গানটিরও রচনাকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় নাই। ভারতী পত্রিকায় প্রকাশের সময় (কার্তিক ১২৮৭) রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল - ১৯ বৎসর ৫-৬ মাস।
প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী দ্বিতীয় খণ্ড (মে ২০০৬)- এ গানটি
আহমেদাবাদে রচিত বলে অনুমান করেছেন।
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী আলাইয়া- তাল ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা:
৪৪৮]
[নমুনা]
-
গান
-
দ্বিতীয় সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান
প্রেস ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ। রাগিণী আলাহিয়া-তাল
ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ২৮৫] [নমুনা]
-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা
[আদি
ব্রাহ্মসমাজ প্রতিভা, ১৩০০] পৃষ্ঠা: ২৮০
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮,
কাব্য-গ্রন্থাবলী (১৩০৩
বঙ্গাব্দ)-এর ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১২৮]
[নমুনা]
- দ্বিতীয় খণ্ড (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রেম
৯৪।
উপ-বিভাগ : বিবিধ-১২১।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি তৃতীয় ভাগ (মকর সংক্রান্তি ১৩১৩ বঙ্গাব্দ)।
আলাহিয়া-ঝাঁপতাল। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত
হয়েছিল।
-
রবিচ্ছায়া [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২]। ব্রহ্মসঙ্গীত ৪১।
রাগিনী আলাইয়া -তাল ঝাঁপতাল।
পৃষ্ঠা: ১৩২-১৩৩।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১)। ব্রহ্মসঙ্গীত। গান সংখ্যা: ২৭৮। রাগিণী আলাইয়া -তাল ঝাঁপতাল।
পৃষ্ঠা: ১০২৬
[নমুনা]
-
স্বরবিতান
ত্রয়োবিংশ (২৩) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৩) অষ্টম গান। পৃষ্ঠা: ২৪-২৬। সুরান্তর : ২৬-২৭।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার ফাল্গুন ১৮০২ শকাব্দ (১২৮৭ বঙ্গাব্দ)
-
ভারতী (কার্তিক ১২৮৭ বঙ্গাব্দ)।
ভগ্নহৃদয়। উপহার। রাগিণী-ছায়ানট। পৃষ্ঠা: ৩৩৭। [নমুনা]
- ১১ মাঘ ১২৮৭ বঙ্গাব্দে অনুষ্ঠিত
একপঞ্চাশ সাম্বৎসরিক
মাঘোৎসবে সায়ংকালীন উপাসনায় গীত হয়। এই গানে উল্লিখিত ছত্র দুটি বাদ দেওয়া হয়
এবং একটি নতুন ছত্র যুক্ত হয়। এছাড়া কয়েকটি শব্দ পরিবর্তন করা হয়।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
-
প্রথম
স্বরলিপিটির স্বরলিপিটি কে করেছেন তা সুষ্পষ্টভাবে জানা যায়। উল্লেখ্য
স্বরবিতান
স্বরবিতান
ত্রয়োবিংশ (২৩) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৩) সম্পাদক ছিলেন
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী।
-
ইন্দিরাদেবী
চৌধুরানী [সুরান্তর]
-
কাঙ্গালীচরণ
সেন [সুরভেদ/পাঠভেদ পত্র।
স্বরবিতান
ত্রয়োবিংশ (২৩) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৩)। পৃষ্ঠা ]
-
সুর ও তাল:
-
প্রথম স্বরলিপি: আলাহিয়া-ঝাঁপতাল
(স্বরবিতান
ত্রয়োবিংশ (২৩) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৩)।
সুরান্তর: অনিয়মিত ছন্দে বাঁধা।
রাগ : আলাহিয়া বিলাবল। এই রাগ
আলাহিয়া বিলাবল হওয়া সত্ত্বেও মাঝে মাঝে তীব্র মধ্যমের প্রয়োগ হয়েছে। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে
রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান।
সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৬৮]
ভারতী পত্রিকার
কার্তিক ১২৮৭ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় গানটির রাগের নাম ছিল 'ছায়ানট'। কিন্তু
একপঞ্চাশ সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজের সায়ংকালীন উপাসনায় গীতরূপটি প্রকাশিত হয়
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার ফাল্গুন ১৮০২ শকাব্দ (১২৮৭ বঙ্গাব্দ)। এখানে গানটির রাগতাল
সম্পর্কে উল্লেখ করা হয় রাগিণী-আলাইয়া, তাল-ঝাঁপতাল।
এই গানের সুরে আদলে প্রতিভা দেবীর একটি গান পাওয়া যায়। গানটি নব
বরষের আলো। সুপ্রিয়া চক্রবর্তী]
-
রাগ-ছায়ানট। তাল-ঝাঁপতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬],
পৃষ্ঠা: ৫৭ ।
-
রাগ-ছায়ানট।
তাল-ঝাঁপতাল ।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই
২০০১, পৃষ্ঠা: ১০০।
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত
-
সুরাঙ্গ: ঝাঁপতাল
-
গ্রহস্বর: পা [প্রথম স্বরলিপি]
পপা [সুরান্তর]
-
লয়: মধ্য [প্রথম স্বরলিপি]
ঈষৎ বিলম্বিত [সুরান্তর]