আমার প্রাণের 'পরে চলে গেল কে
বসন্তের বাতাসটুকুর মতো।
সে যে ছুঁয়ে গেল, নুয়ে গেল রে―
ফুল ফুটিয়ে গেল শত শত।
সে চলে গেল, বলে গেল না―সে কোথায় গেল ফিরে এল না।
সে যেতে যেতে চেয়ে গেল কী যেন গেয়ে গেল―
তাই আপন-মনে বসে আছি কুসুমবনেতে॥
সে ঢেউয়ের মতন ভেসে গেছে, চাঁদের আলোর দেশে গেছে,
যেখান দিয়ে হেসে গেছে, হাসি তার রেখে গেছে রে ―
মনে হল আঁখির কোণে আমায় যেন ডেকে গেছে সে।
আমি কোথায় যাব, কোথায় যাব, ভাবতেছি তাই একলা বসে।
সে চাঁদের চোখে বুলিয়ে গেল ঘুমের ঘোর।
সে প্রাণের কোথায় দুলিয়ে গেল ফুলের ডোর।
কুসুমবনের উপর দিয়ে কী কথা সে বলে গেল,
ফুলের গন্ধ পাগল হয়ে সঙ্গে তারি চলে গেল।
হৃদয় আমার আকুল হল, নয়ন আমার মুদে এল রে―
কোথা দিয়ে কোথায় গেল সে॥
" 'আমার প্রাণের 'পরে চলে
গেল কে' মোট ২৯ লাইনের গান। কিন্তু কলি মাত্র দুটি। চার লাইনের আস্থায়ী, আর
বাকি ২১ লাইন হল অন্তরা। একে অন্তরা বলছি এই কারনে যে, এর প্রথম লাইন থেকে শেষ
লাইন, একটানা গেয়ে যেতে হয়। মাঝের আর কোন লাইন থেকে আস্থায়ীতে ফেরবার উপায় নেই।
এবং এই ২১ লাইনের অন্তরাতেও সুরের পুনরাবৃত্তি নেই। মিশ্র বেহাগ হল এই গানের
সুর।