বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
কখন যে বসন্ত গেল
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ:
প্রেম : ৩০৪
কখন যে বসন্ত গেল, এবার হল না গান।
কখন বকুলমূল ছেয়েছিল ঝরা
ফুল,
কখন যে ফুল-ফোটা হয়ে গেল অবসান॥
এবার বসন্তে কি রে যুঁথিগুলি জাগে নি রে প্রেম―
অলিকুল গুঞ্জরিয়া করে নি কি মধুপান।
এবার কি সমীরণ জাগায় নি ফুলবন―
সাড়া দিয়ে গেল না তো, চলে গেল ম্রিয়মাণ॥
বসন্তের শেষ রাতে এসেছি যে শূন্য হাতে―
এবার গাঁথি নি মালা, কী তোমারে করি দান।
কাঁদিছে নীরব বাঁশি, অধরে মিলায় হাসি
―
তোমার নয়নে ভাসে ছলোছলো অভিমান॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
-
পাঠভেদ:
কখন যে বসন্ত গেল, এবার হল না গান
যতগুলি পাখী ছিল
গেয়ে বুঝি চ'লে গেল,
সমীরণে মিলে গেল বনের বিলাপ-তান।
ভেঙেছে ফুলের মেলা, চ'লে গেছে হাসি খেলা,
এতক্ষণে সন্ধ্যাবেলা জাগিয়া চাহিল প্রাণ।
কখন্ বসন্ত গেল, এবার হ'লো না গান॥
―
মোট চারটি স্তবকের তৃতীয় স্তবক : গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩০৮ বঙ্গাব্দে এই গানটি রচিত হয়। এই বিচারে গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৪০ বৎসর বয়সের রচনা।
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কড়ি ও কোমল
- প্রথম সংস্করণ [আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯৩ বঙ্গাব্দ]। শিরোনাম: বসন্ত-অবসান। পৃষ্ঠা: ১৭০
- রবীন্দ্র-রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড [বিশ্বভারতী শ্রাবণ ১৩৯১] শিরোনাম: বসন্ত-অবসান। পৃষ্ঠা: ৬৭
-
কাব্যগ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
কড়ি ও কোমল।
শিরোনাম বসন্ত অবসান। সিন্ধু ভৈরবী- আড়াঠেকা। পৃষ্ঠা:
১২৪]
[নমুনা]
-
গান
-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা
[আদি-ব্রহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩০০ বঙ্গাব্দ। সিন্ধু ভৈরবী-আড়াঠেকা। গান সংখ্যা ৪৩। পৃষ্ঠা: ৩৮-৪১] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
-
দ্বিতীয় খণ্ড (বিশ্বভারতী, ১৩৪৮)
-
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
প্রেম
(প্রেম
বৈচিত্র্য-২৭৭)
পর্যায়ের
৩০৪
সংখ্যক গান।
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১) যোগিয়া বিভাস-একতালা। ৪৪ সংখ্যক গান,
সিন্ধু ভৈরবী-আড়াঠেকা। গান সংখ্যা ৪৩।
পৃষ্ঠা: ৯৭৬
[নমুনা]
-
স্বরবিতান দ্বাত্রিংশ
(৩২) খণ্ডের (অগ্রহায়ণ ১৪১২ বঙ্গাব্দ)
৬
সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা : ১৪-১৯।
[নমুনা]
- পত্রিকা:
- সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকা
(বৈশাখ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)।
- রেকর্ডসূত্র:
- এইচ.এম.ভি. ও কলম্বিয়া রেকর্ড
কোম্পানি এই গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। শিল্পী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর।
রেকর্ড নম্বর
BD
1236।
[সূত্র: রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত। সিদ্ধার্থ ঘোষ। ইন্দিরা
সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর ১৯৮৯]
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
- ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী।
স্বরবিতান দ্বাত্রিংশ
(৩২)
(অগ্রহায়ণ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) খণ্ডের প্রথম স্বরলিপি]
[ইন্দিরাদেবী
চৌধুরানী-কৃত
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[নমুনা]
- দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[স্বরবিতান দ্বাত্রিংশ
(৩২) (অগ্রহায়ণ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) খণ্ডের সুরান্তর স্বরলিপি এবং
সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকা
(বৈশাখ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)]।
[স্বরলিপি]
- সুর
ও তাল:
-
স্বরবিতান দ্বাত্রিংশ
(৩২) খণ্ডে (অগ্রহায়ণ ১৪১২ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত গানটির
স্বরবিতানে (পৃষ্ঠা ৬৩) বলা হয়েছে যে, এই গানটির গীতরীতি সম্পর্কে
বিশেষ অবহিত হওয়া আবশ্যক।
-
স্বরবিতান দ্বাত্রিংশ
(৩২) খণ্ডে (অগ্রহায়ণ ১৪১২ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের
নাম হিসেবে উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে
পিলু-বাঁরোয়া-আড়াঠেকা।
- রাগ : পিলু
বাঁরোয়া। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা:
৭৩]
- রাগ: পিলু-বাঁরোয়া।
তাল: আড়াঠেকা। [রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর
২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৪৩]।
- রাগ: সিন্ধু, পীলু ।
তাল: আড়াঠেকা
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত।
প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই
২০০১। পৃষ্ঠা: ৭৯]
- গ্রহস্বর: গা।
- লয়: মধ্য।