বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আজি শরততপনে প্রভাতস্বপনে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ:
প্রেম : ১৪১
আজি শরততপনে প্রভাতস্বপনে কী জানি পরান কী যে চায়।
ওই শেফালির শাখে কী বলিয়া ডাকে বিহগ বিহগী কী যে গায় গো॥
আজি মধুর বাতাসে হৃদয় উদাসে, রহে না আবাসে মন হায়-
কোন্ কুসুমের আশে কোন্ ফুলবাসে সুনীল আকাশে মন ধায় গো॥
আজি কে যেন গো নাই, এ প্রভাতে তাই জীবন বিফল হয় গো-
তাই চারি দিকে চায়, মন কেঁদে গায় ‘এ নহে, এ নহে, নয় গো’।
কোন্ স্বপনের দেশে আছে এলোকেশে কোন্ ছায়াময়ী অমরায়।
আজি কোন্ উপবনে, বিরহবেদনে আমারি কারণে কেঁদে যায় গো॥
আমি যদি গাঁথি গান অথিরপরান, সে গান শুনাব কারে আর
আমি যদি গাঁথি মালা লয়ে ফুলডালা, কাহারে পরাব ফুলহার॥
আমি আমার এ প্রাণ যদি করি দান, দিব প্রাণ তবে কার পায়।
সদা ভয় হয় মনে পাছে অযতনে মনে মনে কেহ ব্যথা পায় গো॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
-
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১২৯৩ বঙ্গাব্দ
।
গানটি
রবীন্দ্রনাথের
২৫ বৎসর বয়সের
রচনা।
উল্লেখ্য,
এই গানটির রচনা সংক্রান্ত কিছু তথ্য পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ছেলেবেলা'
(ভাদ্র ১৩৪৭
বঙ্গাব্দ) গ্রন্থে, " জ্যোতিদাদার আসর ছিল তেতালার ঘরে,আর বড়দাদার ছিল আমাদের দক্ষিণের
বারান্দায়। একসময় তিনি ডুবে ছিলেন আপন-মনে ভারী ভারী তত্ত্বকথা নিয়ে, সে ছিল আমাদের
নাগালের বাইরে।...তার পরে কাব্য লিখতে লাগলেন; যত লিখে রাখতেন তার চেয়ে ফেলে
দিতেন অনেক বেশি। যা লিখতেন তা সহজে পছন্দ হত না। তাঁর সেই-সব ফেলাছেঁড়া লাইনগুলো
কুড়িয়ে রাখবার মত বুদ্ধি আমাদের ছিল না। যেমন যেমন লিখতেন শুনিয়ে যেতেন, শোনবার লোক
জমত তাঁর চার দিকে। আমরা বাড়িসুদ্ধ সবাই মেতে গিয়েছিলুম এই কাব্যের
রসে।...জোড়াসাঁকোর বাড়ির প্রাণের একটি ঝরনাতলা ছিল এই দক্ষিণের
বারান্দা, শুকিয়ে গেল এর স্রোত, বড়দাদা চলে গেলেন শান্তিনিকেতন আশ্রমে। আমার কেবল
মাঝে মাঝে মনে পড়ে, ঐ বারান্দার সামনেকার বাগানে মন-কেমন-করা শরতের রোদ্দুর ছড়িয়ে
পড়েছে, আমি নতুন গান তৈরি করে গাচ্ছি
'আজি শরততপনে প্রভাতস্বপনে কী জানি পরান কী যে চায়'।"
এছাড়া 'জীবনস্মৃতি'তেও (১৩১৯ বঙ্গাব্দ) এই গানের উল্লেখ রয়েছে, "কিন্তু আমি যে
সময়কার কথা বলিতেছি সে সময়ের দিকে তাকাইলে দেখিতে পাই, তখন শরৎঋতু সিংহাসন অধিকার
করিয়া বসিয়াছে। তখনকার জীবনটা আশ্বিনের একটা বিস্তীর্ণ স্বচ্ছ অবকাশের মাঝখানে দেখা
যায়-
সেই শিশিরে ঝলমল-করা সরস সবুজের উপর সোনা-গলানো রৌদ্রের
মধ্যে মনে পড়িতেছে, দক্ষিণের বারান্দায় গান বাঁধিয়া তাহাতে যোগিয়া সুর লাগাইয়া গুন
গুন করিয়া গাহিয়া বেড়াইতেছি-সেই শরতের সকালবেলায়।-
আজি শরততপনে
প্রভাতস্বপনে
কী জানি পরান কী যে চায়।"
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
- ঋণশোধ (১৩২৮ বঙ্গাব্দ)। ভূমিকা- শেখর।
-
কড়ি ও কোমল
- প্রথম সংস্করণ [আদি
ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯৩ বঙ্গাব্দ]।
শিরোনাম: আকাঙ্ক্ষা। পৃষ্ঠা: ১৮২
- রবীন্দ্র-রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড [বিশ্বভারতী শ্রাবণ ১৩৯১]
শিরোনাম: আকাঙ্ক্ষা। পৃষ্ঠা: ৭২
-
কাব্যগ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
কড়ি ও
কোমল। শিরোনাম আকাঙ্ক্ষা। মিশ্র পিলু। পৃষ্ঠা: ১২৬]
[নমুনা]
- গান
-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা
(আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র ১৩০০)। যোগিয়া বিভাস-একতালা। গান সংখ্যা ৪৮। পৃষ্ঠা: ৪৮-৪৯। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ।
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮,
কড়ি ও কোমল
(১২৯৩ বঙ্গাব্দ)] থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৪৬-৪৭]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয়
সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৪৮)
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
প্রকৃতি
(উপ-বিভাগ
: শরৎ-১) পর্যায়ের ১৪১ সংখ্যক গান।
- বাঙালীর গান ( ১৩১২ বঙ্গাব্দ)। দুর্গাদাস লাহিড়ি সম্পাদিত। যোগিয়া বিভাস-একতালা। পৃষ্ঠা: ৬৫১-৬৫২
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী (হিতবাদী ১৩১১) যোগিয়া বিভাস-একতালা। ৪৮ সংখ্যক
গান, যোগিয়া বিভাস-একতালা। পৃষ্ঠা: ৯৭৮
[নমুনা]
-
শতগান,
সরলাদেবী [সুবর্ণ সংস্করণ, ১৪১৮ বঙ্গাব্দ, ২০১১
খ্রিষ্টাব্দ]
সরলাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
পৃষ্ঠা: ৬০-৬৩।
-
স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম
(৫০,
শেফালি)
খণ্ডের (চৈত্র
১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫৯-৬৫।
[নমুনা]
-
স্বরলিপি-গীতিমালা
- প্রথম সংস্করণ ১৩০৩ বঙ্গাব্দ
-
চতুর্থ খণ্ড।
ডোয়ার্কিন এণ্ড সন্স লিমিটেড। ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ। যোগিয়া বিভাস-একাতাল। পৃষ্ঠা ২১-২৫।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
- সাধনা (আশ্বিন-কার্তিক ১৩০০ বঙ্গাব্দ)।
ইন্দিরা দেবী
-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত। পৃষ্ঠা: ৪৮২
[নমুনা]
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
-
প্রথম স্বরলিপি: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[
স্বরবিতান
পঞ্চাশত্তম
(৫০,
শেফালি)
খণ্ডে (চৈত্র
১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
-
সুরান্তর:
ইন্দিরা দেবী। [উল্লেখ্য এই
স্বরলিপিটি ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত 'শেফালী'তে ছিল না]
-
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪
বঙ্গাব্দ)]
-
সরলাদেবী
শতগান,
১৬ সংখ্যক গান, যোগিয়া বিভাস-একতালা।[শতগান, (১৩০৭
বঙ্গাব্দ)]
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম
(৫০, শেফালি) খণ্ডে (চৈত্র
১৪১৩ বঙ্গাব্দ )
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি
৩।৩।৩।৩
মাত্রা ছন্দে
একতাল
তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ:
বিভাস। অঙ্গ: বাউল।
তাল:
একতাল।
[[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৭]।
- রাগ:
যোগিয়া বিভাস-একতালা।
সরলাদেবী
শতগান,
১৬ সংখ্যক গান, যোগিয়া বিভাস-একতালা।[শতগান, (১৩০৭
বঙ্গাব্দ)]
-
রাগ: যোগিয়া-বিভাস
(বাংলা)। তাল: একতাল।[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫১]
- গ্রহস্বর:
সা।
-
লয়: মধ্য।