বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: আমরা
বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : শরৎ-৪) পর্যায়ের ১৪৪ সংখ্যক গান।
আমরা বেঁধেছি
কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালিমালা―
নবীন
ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা॥
এসো
গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
এসো নির্মল
নীলপথে,
এসো ধৌত
শ্যামল আলো-ঝলমল বনগিরিপর্বতে
―
এসো মুকুটে
পরিয়া শ্বেতশতদল শীতল-শিশির-ঢালা॥
ঝরা
মালতীর ফুলে
আসন
বিছানো নিভৃত কুঞ্জে ভরা গঙ্গার কূলে
ফিরিছে মরাল ডানা পাতিবারে তোমার চরণমূলে।
গুঞ্জরতান তুলিয়ো তোমার সোনার বীণার তারে
মৃদুমধু ঝঙ্কারে,
হাসি-ঢালা সুর গলিয়া পড়িবে ক্ষণিক অশ্রুধারে।
রহিয়া রহিয়া যে পরশমণি ঝলকে অলককোণে
পলকের তরে সকরুণ করে বুলায়ো বুলায়ো মনে
―
সোনা
হয়ে যাবে সকল ভাবনা, আঁধার হইবে আলা॥
RBVBMS 479।
[মূল পাণ্ডুলিপির ২৪ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে-
'বেঁধেছি
কাশের গুচ্ছ ইত্যাদি'। পাণ্ডুলিপির শেষে পুরো গানটি
পুনরায় লেখা হয়েছে।
[পৃষ্ঠা
৩১-
৩২]
RBVBMS 440
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 479
-এর
৩১-
৩২
পৃষ্ঠায় গানটি লেখা হয়েছে। গানের শেষে তারিখ উল্লেখ আছে-
'৩রা ভাদ্র/১৩১৫/শান্তিনিকেতন'। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৭ বৎসর ৪ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
ঋতু-উৎসব
[বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ]। শারদোৎসব। দ্বিতীয় দৃশ্য।
ঠাকুরদা(সন্ন্যাসী) ও বালকগণের গান।
মিশ্র রামকেলি-একতালা।
পৃষ্ঠা: ৮৩-৮৪][নমুনা
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ]
-
গান
-
গীতবিতান
-
দ্বিতীয় খণ্ড,
দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
-
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রকৃতি
(উপ-বিভাগ :
শরৎ-৪) পর্যায়ের ১৪৪ সংখ্যক গান।
-
গীতাঞ্জলি
-
শারদোৎসব
-
প্রথম সংস্করণ (আশ্বিন ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)। দ্বিতীয় দৃশ্য।
সমবেত গান। ;মিশ্র রামকেলি-একতালা (ভাদ্র ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)।
পৃষ্ঠা: ১২৩-১২৪
[প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম
(৫০, শেফালি) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) পঞ্চম গান। পৃষ্ঠা ২২-২৫।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
সংগীত-প্রকাশিকা পত্রিকা, মিশ্রখট্-একতাল (অগ্রহায়ন ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)।
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপধ্যায় -কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
-
স্বরলিপি: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম
(৫০,
শেফালি) খণ্ডে
(চৈত্র
১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
-
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপধ্যায়। [সংগীত-প্রবেশিকা পত্রিকা (অগ্রহায়ন ১৩১৬
বঙ্গাব্দ)]
-
ভীমরাও শাস্ত্রী
[সংগীত-গীতাঞ্জলী
(১৩৩৪
বঙ্গাব্দ)]
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান
পঞ্চাশত্তম (৫০, শেফালি) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে একতাল তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ: কালাংড়া। তাল: একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৮]
-
রাগ: কালেংড়া। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৪।]
-
গ্রহস্বর:
ঋ।
-
লয়: মধ্য